সুদীপ্ত আচার্য, বিরাটি: ফের শুট আউটের ঘটনা রাজ্যে। এবার ঘটনাস্থল বিরাটি। একুশে জুলাইয়ে তৃণমূলের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানের দিনই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেলেন এক তৃণমূল কর্মী। একুশে জুলাইয়ের রাতে বিরাটিতে খুন হলেন তৃণমূল কর্মী শুভ্রজিৎ দত্ত। গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দমদম পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে।


স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ওয়ার্ড অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূল কর্মী শুভ্রজিৎ দত্ত। তখনই নাকি ৩-৪ জন ২টি বাইকে চড়ে আসেন আচমকাই। এরপরই সেই তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালায় তারা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা চম্পট দেয়। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তৃণমূল কর্মীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনাস্থলেই শুভ্রজিতের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।


২১শে জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবস। প্রতি বছরই এই বিশেষ দিনে নানারকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। কিন্তু করোনাকালে গত বছরের মতো এবারও ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাষণ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বভারতীয় স্তরে তাঁর বার্তা পৌঁছে দিতে নানা উদ্যোগ নিয়েছিল তৃণমূল। জেলায় জেলায়ও সেই নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। বিরাটিতেও সেইরকই একুশে জুলাই উপলক্ষে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে ছিলেন শুভ্রজিৎও। এরপরই সেখান থেকে ওয়ার্ড অফিসে যান এই তৃণমূল কর্মী। কিন্তু সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথেই দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার হলেন শুভ্রজিৎ।


তৃণমূলের অভিযোগ, খুনের নেপথ্যে বিজেপির হাত রয়েছে। গেরুয়া শিবিরের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত তৃণমূল কর্মী ইমারতি ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। এছাড়া, গতকাল দুপুরে ওই এলাকায় এক দুষ্কৃতীকে মারধর করা হয়। খুনের ঘটনার সঙ্গে এর কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছে নিমতা থানার পুলিশ। আরও জানা গিয়েছে যে, শুভ্রজিতের মাথা ও শরীরে মোট ৫টি গুলি লেগেছিল শুভ্রজিতের শরীরে।