গোপাল চট্টোপাধ্যায় ও এরশাদ আলম,বীরভূম: মাত্র চারদিনের ব্যবধান। বিজেপি করায় ফের ক্ষমা চেয়ে মাইকে প্রচার দলের কর্মীদের একাংশের। বীরভূমের লাভপুরের পর এবার বোলপুরে।বিধানসভা ভোটে বিজেপির ভরাডুবির পর, দিকে দিকে তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে আবেদনের হিড়িক পড়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে শনিবার সকালে বোলপুর পুর এলাকার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে, মাইক ফুঁকে নিজেদের ভুল স্বীকার করল বিজেপি কর্মীদের একাংশ।সেইসঙ্গে জানালেন তৃণমূলে ফেরার আকুল প্রার্থনা। তাঁরা বললেন, বিজেপির প্ররোচনায় পা দিয়েছিলাম, এটি একটি ভাঁওতাবাজির দল, আমরা ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের স্থানীয়দের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প কেউ নেই।
বোলপুরের বিজেপি কর্মী মুকুল মণ্ডল বলেছেন,ভুল বুঝে গিয়েছিলাম বিজেপিতে, আমরা তৃণমূলে যোগ দিতে চাই।
বোলপুরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা ইন্দ্রজিৎ রায় বলেছেন, ওরা হয়তো ভুল বুঝেছে, ওরা যদি আসতে চায় তাহলে স্বাগত জানাচ্ছি।
মঙ্গলবারই বীরভূমের লাভপুরে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর কথা বলে ক্ষমা চেয়ে মাইকে প্রচার করেন কয়েকজন বিজেপি কর্মী। 




অন্যদিকে, রীতিমতো শপথবাক্য পাঠ করে তৃণমূলে ফিরলেন অনুব্রত মণ্ডলের জেলা বীরভূমের সাঁইথিয়ার বনগ্রাম অঞ্চলের প্রায় ৩০০ বিজেপি কর্মী-সমর্থক। তাঁরা জানিয়েছেন,আমরা ভুল করে বিজেপিতে গিয়েছিলাম।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উন্নয়ন, কাজ করেছেন তাতে সামিল হতে, আজ থেকে বনগ্রাম অঞ্চলের প্রধান তুষারকান্তি মহাশয়ের হাত ধরে আমরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছি।
দলত্যাগী বিজেপি যুব মোর্চার মণ্ডল সভাপতি তাপস সাহা বলেছেন, বিজেপিতে থেকে কোনও কাজ করতে পারছিলাম না, উন্নয়নে সামিল হতে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছি।
তবে, দলের এই ভাঙন নিয়ে চিন্তিত নয় বিজেপি।বীরভূম বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেছেন, ভয়ে, আতঙ্কে ওই কর্মীরা তৃণমূলে যোগদান করছেন। এভাবে বিজেপিকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না।
বনগ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও তৃণমূল নেতা তুষার মণ্ডল বলেছেন,ভবিষ্যতে আরও যোগ অনেকেই দেবে, বিজেপি আর কেউ থাকবে না। সবমিলিয়ে ভুল স্বীকার আর দলবদল ঘিরে সরগরম লাল মাটির জেলা।