সিউড়ি: ফেলুদার ‘নয়ন রহস্যে’র নয়নকে মনে পড়ে? যার চোখের সামনে উড়ে বেড়াত সংখ্যারা! টিনটিনের বন্ধু জেনারেল আলকাজার ওরফে রামন জারাত। বন্ধ চোখে নির্ভূল নিশানায় ছোরা গেঁথে দিতে যাঁর জুড়ি মেলা ভার!


গল্পের পাতায় হোক বা বাস্তব, কারও মধ্যে এমন শক্তি থাকতে পারে কি না তা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে, কিন্তু  বীরভূমের অখ্যাত গ্রামের ছোট্ট প্রিয়ার ক্ষমতা দেখে অনেকেরই চোখ কপালে। চোখে কাপড় বেঁধে অনায়াসে খবরের কাগজ পড়তে পারে মেয়েটি। সে বন্ধ চোখেই রং ভরতে পারে ক্যানভাসে! এমনকী, হাঁটাচলাও করতে পারে অনায়াসে! প্রিয়া বলেছে, চোখ বন্ধ করলেই সামনে যা আছে, তার প্রতিচ্ছবি ভেসে ওঠে।

মেয়ের এমন ক্ষমতা দেখে অবাক মা-বাবা। প্রিয়ার বাবা তারিণী মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘বছরখানেক আগে থেকেই মেয়ের এই ক্ষমতা নজরে আসে। চোখ বেঁধে দিলে সন্দেহ হত। পরে টাইট করে চোখ বেধে দিলেও দেখি মেয়ে বই পড়তে পারছে, ছবি আঁকছে।’

কীভাবে ঘটছে এমন? খতিয়ে দেখতে চান বিজ্ঞানমঞ্চের সদস্যরা। সবমিলিয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী প্রিয়াকে নিয়ে শোরগোল বীরভূমের সিউড়ির রস্তানপুর গ্রামে।