প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া: নদিয়া জামাইষষ্ঠীর আগের রাতে মর্মান্তিক মৃত্যু এক  সদ্য বিবাহিত যুবকের। ছেলেকে বাঁচাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বাবারও। নদিয়ার ভালুকায় এই  ঘটনা ঘটেছে। নিহত যুবক ২৩ বছরের সঞ্জীব সাঁতরা। পরিবারের দাবি, গতকাল রাতে হাওয়া না লাগায় টেবিল ফ্যান ঘোরাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ওই তরুণ। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে বাবাও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাবা-ছেলে দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।
এক মাস আগে বিয়ে করেছিলেন নদিয়ার কোতোয়ালি থানার ভালুকা চড়কতলার গোয়ালিয়ার বাসিন্দা সঞ্জীব সাঁতরা(২৩) ৷ আজ জামাই ষষ্ঠীতে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল তাঁর৷ গতকাল রাতে তারা টেবিল ফ্যান চালিয়ে তাড়াতাড়ি শুয়েও পড়েছিলে ন৷ টেবিল ফ্যানের হাওয়া গায়ে ঠিকমতো না লাগায় ফ্যানটি ঘোরাতে যান সঞ্জয়। সেই সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি৷ তাঁর স্ত্রীর চিৎকারে পাশের ঘর থেকে ছুটে আসেন তার বাবা ধনঞ্জয় সাঁতরা (৬২)।  ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন৷ চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তাদের উদ্ধার করেন৷ গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বাবা ও ছেলেকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়৷


উল্লেখ্য, গত ১১ মে রাজভবনের সামনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছিল । প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এক বাইক আরোহী এগিয়ে আসছিলেন। হঠাতই তারা দেখেই তিনি পড়ে যান রাস্তায় জলের মধ্যে। সেখানেই তিনি লুটিয়ে পড়েন। তারপরই তাঁর দেহ ভাসতে শুরু করে। সেখানেই পড়ে ছিল খোলা একটি তার। সেই তার দেখেই আর এগোতে সাহস পাননি পথচারীরা। ওই জায়গাটি গার্ডরেল দিয়ে দেয় পুলিশ। আশঙ্কা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট  হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ঋষভ মণ্ডল। ২৫ বছরের ওই যুবক ফরাক্কার বাসিন্দা। ওই দিন বিকেলের টানা বৃষ্টিতে, রাজভবনের নর্থ গেটের সামনে হাঁটু সমান জল জমে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বৃষ্টি থামার পর, সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ  জমা জলের মধ্যেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন ওই যুবক। হঠাৎই একটি লাইটপোস্টের পাশে পড়ে গিয়ে ছটফট করতে থাকেন তিনি। তারপরই সব শেষ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, লাইটপোস্টের খোলা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। খবর পাওয়া মাত্রই সিইএসসি-র কর্মীরা এসে লাইটপোস্টের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেন।যদিও সেখানে কোনও খোলা তার ছিল না বলে দাবি করেন তাঁরা