গোপাল চট্টোপাধ্যায়, ইলামবাজার: ফের বীরভূমে বিজেপিতে ভাঙন। বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন প্রায় ১ হাজার জন বিজেপি কর্মী-সমর্থক। 


এদিন বোলপুর কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের হাত ধরে ইলামবাজার ব্লকের ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, গ্রাম পঞ্চায়েত, ইলামবাজার গ্রাম পঞ্চায়েত বিভিন্ন গ্রামের বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা শাসক দলে যোগদান করেন। 


প্রসঙ্গত ভোট-পরবর্তী হিংসায় বহু বিজেপি কর্মীর নেতাকে শিকার হতে হয়েছে। কোথাও বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, তো কোথাও বিভিন্নভাবে অত্যাচারিত হয়েছিলেন তাঁরা। 


সেই পরিস্থিতিতে বিজেপি প্রার্থীর কোনও সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ তাঁদের। ফলে দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। তাই এদিন সকলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। 


মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের বক্তব্য, ইলামবাজার ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে প্রায় ১ হাজার বিজেপি কর্মী-সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে সম্মুখীন হচ্ছিলেন। তাই এদিন কংগ্রেসে যোগদান করলেন। 


তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানকারী এক বিজেপি কর্মীর বক্তব্য, আজকে আমরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম। দীর্ঘদিন থেকেই অত্যাচারিত হচ্ছিলাম। আমাদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছিল। আমরা প্রতিনিয়ত অত্যাচারিত হচ্ছিলাম, অথচ আমাদের যিনি প্রার্থী, তিনি আমাদের কোনও খোঁজ নেননি। তাই এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম।


এর আগে, গত ২৩ তারিখ জেলা নেতৃত্বর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে দলত্যাগ করেন বিজেপির ১৬ জন বুথ সভাপতি-সহ প্রায় দেড় হাজার কর্মী। নাম লেখান তৃণমূলে।


দলত্যাগীদের অভিযোগকে কার্যত মেনে নিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি জানান, ভোটের পর হিংসা হলেও, আমরা সবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। ফলে ওদের ক্ষোভের যথেষ্ট কারণ আছে।


এর ২ দিন পর, বীরভূমের লাভপুরে শিবির বদলে তৃণমূলে যোগ দেন ১৬টি অঞ্চলের বুথ সভাপতি-সহ প্রায় এক হাজার বিজেপি কর্মী। আর নতুন দলে যোগ দিয়েই, পুরনো দলের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন দলত্যাগীরা।  


বিজেপির জেলা সভাপতি এবার দাবি করেন, ভয় দেখিয়ে ও জোর করে কয়েকজনকে নিজেদের দলে টানছে তৃণমূল। তবে এতে বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না।