গোপাল চট্টোপাধ্যায়,  বীরভূম:  বীরভূমের লাভপুরে ফের বিজেপিতে ভাঙন। তৃণমূলে যোগ দিলেন ১৬টি অঞ্চলের বুথ সভাপতি-সহ প্রায় এক হাজার কর্মী। গেরুয়া শিবিরের জেলা নেতৃত্বের দাবি, ভয় দেখিয়ে যোগদান করিয়েছে তৃণমূল। উন্নয়ন দেখেই এসেছে, পাল্টা দাবি রাজ্যের শাসক দলের।
ছবি এক। ঘটনাও এক। শুধু তারিখ বদলের সঙ্গে জায়গা বদল।


কুরনাহারের পর এবার বিপ্রটিকুরি। বীরভূমের লাভপুরে ফের ভাঙন ধরল বিজেপিতে। রবিবার সকালে শিবির বদলে তৃণমূলে যোগ দিলেন ১৬টি অঞ্চলের বুথ সভাপতি-সহ প্রায় এক হাজার বিজেপি কর্মী।এদিন দলত্যাগীদের হাতে পতাকা তুলে দেন লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ।আর নতুন দলে যোগ দিয়েই, পুরনো দলের বিরুদ্ধে বিষোদগার করলেন দলত্যাগীরা।  


তৃণমূলে যোগদানকারী বিজেপি নেতা সূর্য বাগদি বললেন, ভুল বুঝে গিয়েছিলাম, বিজেপিতে সহযোগিতা না পেয়ে ও উন্নয়ন দেখে তৃণমূলে যোগ দিলাম।


অভিজিৎ সিংহ বলেছেন,  ভোটের পর বিজেপি নেতৃত্বকে এরাজ্যে তেমনভাবে আর দেখা যায়নি, তাই নিচুতলার কর্মীরা কোনও সহযোগিতা পাচ্ছিল না, রাজ্য সরকারের উন্নয়ন দেখে বিজেপির এই কর্মীরা যোগ দিলেন তৃণমূলে।


গত শুক্রবার, লাভপুরেরই কুরনাহার অঞ্চলে, বিজেপির ১৬ জন বুথ সভাপতি-সহ প্রায় দেড় হাজার কর্মী যোগ দেন তৃণমূলে।লাল মাটির জেলায় কেন ধারাবাহিক ভাবে ভাঙন ধরছে গেরুয়া শিবিরে? এনিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতির দাবি, ভয় দেখিয়ে ও জোর করে কয়েকজনকে নিজেদের দলে টানছে তৃণমূল। তবে এতে বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না।


এরইমধ্যে কোচবিহারের শীতলকুচিতেও বিজেপিকে ভাঙ্গন ধরেছে। বিজেপি ছেড়ে কয়েকশো কর্মী  তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিম রায় এর হাত থেকে দলের পতাকা তুলে নেন তারা। মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড দেখে বিজেপির ওই কর্মীরা তাদের দলে যোগ দিয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। অন্যদিকে, বিজেপির দাবি,  ভয় দেখিয়ে যোগদান করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের পর বিভিন্ন জেলাতেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের ঘটনা দেখা যাচ্ছে।