গোপাল চট্টোপাধ্যায়, মল্লারপুর: তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র বীরভূমের মল্লারপুর। বোমাবাজি, একাধিক বাড়িতে ভাঙচুর। ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীরা গ্রামে ফিরেই হামলা চালায়, অভিযোগ তৃণমূলের। বোমাবাজি করেছে রাজ্যের শাসক দলই, পাল্টা দাবি বিজেপির।


বারুদের স্তূপে গ্রাম। ব্যাপক বোমাবাজি। রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে তাজা বোমা। বোমা ঝুলছে গাছের ডালেও। একের পর এক বাড়ি ভাঙচুর। শনিবার সকালে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মল্লারপুরের বানাসপুর গ্রাম। স্থানীয় সূত্রে খবর,  ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই গ্রাম ছাড়া ছিল ১৫টি পরিবার। ঘরছাড়া সকলেই দলীয় সমর্থক বলে দাবি বিজেপির। অভিযোগ, এই পরিবারগুলি গ্রামে ফিরতেই শুরু হয় বোমাবাজি। ভাঙচুর চালানো হয় একাধিক বাড়িতে। এই নিয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছে তৃণমূল ও বিজেপি।


মল্লারপুরের তৃণমূল নেতা আনারুল শেখ বলেন, বিজেপি সমর্থকরা গ্রামে ফিরেই বোমাবাজি শুরু করে। গ্রামবাসীরা প্রতিরোধ করে। বীরভূমে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, যখনই বিজেপি কর্মীরা বাড়ি ফিরছে তখনই হামলা করছে তৃণমূল। বোমাবাজি বাড়ি ভাঙচুর করে তাড়িয়ে দিয়েছে। এলাকা থেকে প্রচুর বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।


এলাকা দখল নিয়ে গত ২৪ জুলাই প্রধান ও উপ প্রধানের স্বামীর মধ্যে বিবাদকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হুগলির গোঘাটের শ্যামবাজার এলাকা। ধারাল অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালানো অভিযোগ ওঠে। সংঘর্ষে আহত হন দু পক্ষের ১০-১২ জন। এদের মধ্যে ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামাতে হয় র‍্যাফ।  জানা যায়, প্রধানের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে গাছ কাটার অভিযোগ তোলেন উপ প্রধানের স্বামী ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা। এরপর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছিল। এরপর সংঘর্ষ বেঁধে যায়। দু’ পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে। দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে এলেও বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপাতে চেয়েছে তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী। তৃণমূল ব্লক নেতৃত্ব জানায়, বিষয়টি দলের উচ্চস্তরে জানানো হয়েছে।