কলকাতা: কোথাও রাস্তায় নেমে খেতে হল পুলিশের ধমক। কোথাও আবার মাস্ক না পরায়, সাইকেলের হাওয়া খুলে দিলেন আইনরক্ষকরা। সেই সঙ্গে করোনাবিধি ভাঙায় জেলায় জেলায় চলল ব্যাপক ধরপাকড়। একাধিক জায়গায় বন্ধ করে দেওয়া হল হোটেল, রেস্তোরাঁ।


রাজ্যে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে ভাইরাসের সংক্রমণ। কিন্তু বিধির ক্ষেত্রে কোনওরকম আপস করতে নারাজ প্রশাসন। রাজ্য করোনা মোকাবিলায় ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত কার্যত লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরনো নিষেধ। কিন্তু সেসবে ভ্রুক্ষেপ নেই অনেকেরই। সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই রাত ৯টার পরও রাস্তায় নামছেন অনেকে। সঙ্গে সঙ্গে কড়া পদক্ষেপ করতেও দেখা গেল পুলিশকে।


করোনা নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ির মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায় চলল পুলিশি ধরপাকড়। গতকাল রাতে আমডাঙা থানার আইসি-র নেতৃত্বে চলে নাকা তল্লাশি। ১০টা মোটরবাইক বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। সংক্রমণ মোকাবিলায় এ ধরনের অভিযান লাগাতার চলবে বলে জানানো হয়েছে। কোভিড বিধিভঙ্গের অভিযোগে বারাসাতে ১০০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায় অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে গ্রেফতার করল বেলদা থানার পুলিশ। গতকাল রাতে কেশিয়াড়ি মোড়ে চলে নাকা তল্লাশি। করোনা বিধি অমান্য করার শাস্তি হিসেবে কয়েকজনকে বাইক ঠেলে থানায় নিয়ে যেতে বলা হয়।


জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে অভিযানে নামেন ডিএসপি ক্রাইম। কোভিড বিধি মানা হচ্ছে কিনা জানতে ডুয়ার্সের একাধিক লজ ও হোটেলে তল্লাশি চালায় পুলিশ। একই ধরনের পুলিশি পদক্ষেপ দেখা গিয়েছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জেও। সংক্রমণে রাশ টানতে রায়গঞ্জে তত্পর পুলিশ। রাতভর চলল অভিযান। নিয়ন্ত্রণ বিধি অগ্রাহ্য করে নির্দিষ্ট সময়ের পরেও খোলা রাখায় বন্ধ করা হয় একটি রেস্তোরাঁ। মাইকে প্রচার চালায় পুলিশ। করোনা বিধি না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। মুর্শিদাবাদের ডোমকলেও রাতে চলছে নাকা তল্লাশি। বিনা মাস্কে অথবা বিনা প্রয়োজনে বের হওয়ায় ৪৮ জনকে আটক করে ডোমকল থানার পুলিশ।