গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: বীরভূমের মহম্মদবাজার থেকে অস্ত্র-সহ এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৯ রাউন্ড গুলি। কী উদ্দেশ্যে, কোথায় অস্ত্র পাচার খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


ব্যাগ হাতে হেঁটে যাওয়া ব্যক্তি যে অস্ত্র পাচারকারী, এমন সন্দেহ ছিলই। দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালাতেই ব্যাগ থেকে বেরিয়ে এল অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, ম্যাগাজিন।


বীরভূমের মহম্মদবাজারে পুলিশের জালে অস্ত্র পাচারকারী। পুলিশের কাছে আগেই খবর ছিল। সেই মতো বুধবার রাতে মহম্মদবাজারের শেওড়াকুড়ি মোড়ে অভিযান চালানো হয়। 


৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে হেঁটে যাওয়া এক ব্যক্তিকে পাকড়াও করা হয়।  ব্যাগ খুলতেই বেরিয়ে আসে একটা নাইন এমএম, একটা সেভেন এমএম পিস্তল, ১৯ রাউন্ড গুলি আর ৪টে ম্যাগাজিন। এরপরই উজ্জ্বল বাগদি নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বাড়ি মহম্মদবাজারেরই মালাডাঙ গ্রামে।


পুলিশ সূত্রে খবর,  পুলিশের খাতায় ধৃতের নাম রয়েছে। এই অস্ত্র কোথায়, কাদের কাছে পাচার করা হচ্ছিল, এই চক্রে আর কারা জড়িত তার সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ।


এদিকে, সাতসকালে বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে  চাঞ্চল্য ছড়ালো বর্ধমান পৌরসভার ২৬ নং ওয়ার্ডের গোদা মাঝের পাড়া এলাকায়।  বর্ধমান থানার পুলিশ পৌঁছে ঘটনাস্থল থেকে ২ দুটি তাজা বোমা উদ্ধার করে।


এলাকায় অশান্তি ও ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টির লক্ষ্যেই দুস্কৃতকারীরা এই বোমাগুলি রেখেছে বলে দাবী স্থানীয়দের। কোথা থেকে এল বোমাগুলি বা কারা রাখলো বোমাগুলি তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


এর আগে, গত সপ্তাহে বীরভূমের রামপুরহাটে কিষাণ মাণ্ডির কাছে তাজা বোমা উদ্ধার হয়। গত ৮ তারিখ কিষাণ মাণ্ডির পাঁচিলের ধারে পরিত্যক্ত ব্যাগে বোমা দেখতে পান স্থানীয়রা।


পরে পুলিশ গিয়ে ২টি তাজা বোমা উদ্ধার করে। এই বোমা উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। কে বা কারা, কী উদ্দেশ্যে ওখানে বোমা রেখেছিল, খতিয়ে দেখছে রামপুরহাট থানার পুলিশ।