কলকাতা: দুবরাজপুরের মুক্তিনগরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু। আরও ৯ জন তৃণমূল কর্মী হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
তৃণমূলের অভিযোগ, গতকাল রাতে মুক্তিনগর গ্রামে পরিকল্পিত হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তৃণমূল কর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয়।
অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের দাবি, ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন গ্রামে হামলা চালাচ্ছে তৃণমূলের বাইক বাহিনী।
গতকালও একই ঘটনা ঘটে। গ্রামবাসীরা প্রতিরোধ গড়ে তোলায় এই ঘটনা। সকালে গ্রামে গিয়ে আহত তৃণমূল কর্মীদের উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রামে পুলিশি টহল চলছে।
এর পাশাপাশি, আজ সকালে দুবরাজপুরের পাঁচড়া গ্রামে তৃণমূল কার্যালয়ে আগুন,এক তৃণমূল কর্মীকে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে।
পরে পুলিশ গিয়ে ওই তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে। বিজেপির অভিযোগ, একের পর এক গ্রামে হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল। তার জেরেই এই ঘটনা। হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।
এর খানিক পরেই পাঁচড়া গ্রামে তৃণমূলের খয়রাশোল ব্লকের সভাপতি মাখন মুখোপাধ্যায়-সহ একাধিক শাসক-নেতার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি, চলে বাইক ভাঙচুর। বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠলেও অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির।
একমাস ধরে চলা ভোটের পর, ফল ঘোষণা হয়ে গেছে। তৃণমূল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য সরকার গঠন করে ফেলেছে।
সাধারণ মানুষ আশা করেছিল, এবার অন্তত রাজনীতি ভুলে করোনা-মোকাবিলায় ঝাঁপাবে সব দল। কিন্তু, একসঙ্গে করোনা মোকাবিলা দূরের কথা, রাজনৈতিক দলগুলি ব্যস্ত অশান্তি নিয়ে তরজায়।
কিন্তু এতকিছুর মধ্যে পরেও বিরাম নেই রাজনৈতিক অশান্তির! ২ মে ভোটের ফল ঘোষণার পর কয়েকটি জেলা থেকে রাজনৈতিক অশান্তির খবর সামনে এসেছে।
সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে বাংলায়।
বৃহস্পতিবার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজিপির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গতকাল, তারা রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে প্রায় দেড়-ঘণ্টা ধরে আলোচনা সেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাতগাছিয়া ও বজবজে যান। পরে, কলকাতার মানিকতলা অঞ্চলেও যান।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিনিধি দল। ভোট পরবর্তী অশান্তি নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকরা।