কলকাতা: 'স্টাফ স্পেশালে ওঠার অনুমতি দেওয়া হোক স্বাস্থ্যকর্মীদের' রেলকে চিঠি দিয়ে এমনটাই জানাল রাজ্য সরকার। অনেক স্বাস্থ্যকর্মী প্রতিদিন ট্রেনে যাতায়াত করেন। তাঁদের সুবিধার্থেই রেলের কাছে আবেদন করেছেন রাজ্য। জানিয়েছে, 'পরিচয়পত্র দেখিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াতে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিক রেল।’ শুক্রবার এই মর্মে হাওড়া ও শিয়ালদার ডিআরএম-কে চিঠি দিয়েছন, রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। 


রাজ্য করোনার প্রকোপ বেড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তাই গতিবিধির ওপর নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে রাজ্য সরকার। গত বুধবার রাজ্য সরকারের তরফে নির্দেশিকা জারি জানানো হয়েছে আপাতত ১৪ দিনের জন্য লোকাল ট্রেন বন্ধ।  তবে রেলের তরফে জানানো হয়েছে, পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকবে।


তবে এই সিদ্ধান্তের কারণে সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। দুশ্চিন্তায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। হয়রানির আশঙ্কা করছেন অনেকেই। অনেকে আবার রোজগারে ক্ষতির চিন্তা করছেন। তবে, করোনা সংক্রমণ কমাতে এই সিদ্ধান্ত জরুরি বলে মত কয়েকজন যাত্রীর। রাজ্যে একটা বড় অংশই লোকাল ট্রেনে রোজ অফিস যাতায়াত করেন। এই তালিকায় রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও। তাই তাঁদের কথা মাথায় রেখেই স্টাফ ট্রেনে যাতায়াতের অনুমতি চাইল রাজ্য। 


উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী বেসরকারি ক্ষেত্রে ফের ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি সরকারি ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে অফিস চালানোর কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি শুধু ট্রেন চলাচলেই নয়, রাজ্যে গণপরিবহন চলাচলেও রাশ টেনেছে সরকার। বাস এবং মেট্রো কমিয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। 


এদিকে রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১৯২১৬। মৃত্যু হয়েছে ১১২ জনের। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ১৭ হাজার ৭৮০ জন। কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯১৫ জন, মৃত ২৮ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯৫৭ জন, মৃত ৩৩ জন।


রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লক্ষ ৩৫ হাজার ৬৬।  একদিনে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১৩২৪। মোট অ্যাক্টিভ কেস ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৮। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৭৬ জনের। সুস্থতার হার ৮৫. ৭৩ শতাংশ। বর্তমানে হোম কোয়ারান্টিনে আছেন ৬১ হাজার ৬৮০ জন। বুলেটিন অনুযায়ী, ৬৪ হাজার ৫৫১ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়।