কলকাতা: কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছিল বিজেপি।দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনেও দ্বিতীয় স্থান পেয়েছিল তারা।এই প্রেক্ষাপটে বিজেপি সভাপতি  অমিত শাহ রাজ্যে এসে ২০১৯-এ বাংলা জয়ের ডাক দিয়েছিলেন!

কিন্তু, সাত পুরসভার ভোটে সমতলে বিন্দুমাত্র দাগ কাটতে ব্যর্থ হল বিজেপি।

তৃণমূলকে ধাক্কা দেওয়া তো দূরের কথা, পূজালি, রায়গঞ্জ কিংবা ডোমকলে দ্বিতীয় স্থানেও উঠে আসতে পারেনি তারা।

পূজালি পুরসভায় ২টি আসনে জিতলেও  ভোট শতাংশের নিরিখে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি।

পূজালিতে তৃণমূল পেয়েছে প্রায় ৪৮ শতাংশ ভোট।

বাম-কংগ্রেস জোট প্রায় ২৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে।

বিজেপি পেয়েছে মাত্র ১৫ শতাংশ ভোট।

রায়গঞ্জে পুরসভায় একটি মাত্র আসন দখল করতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি। ভোট শতাংশের নিরিখে এই পুরসভাতেও তৃতীয় স্থানে তারা।

রায়গঞ্জে তৃণমূল পেয়েছে ৫৬ শতাংশ ভোট।

বাম-কংগ্রেস জোট পেয়েছে প্রায় ৩৪ শতাংশ ভোট।

বিজেপি পেয়েছে মাত্র ৮ শতাংশ ভোট।

সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ডোমকল পুরসভায় একটি আসনেও জিততে পারেনি বিজেপি। ভোট শতাংশের নিরিখে এখানেও তৃতীয় স্থানে তারা।

ডোমকলে তৃণমূল ৭৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে।

বাম-কংগ্রেসের জোট পেয়েছে ১৯ শতাংশ ভোট।

বিজেপি পেয়েছে মাত্র ১.৩৯ শতাংশ ভোট।

বিজেপি অবশ্য এই ফলে অস্বাভাবিক কিছু দেখছে না।  দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, সমতলের এই পুরসভাগুলিতে অস্তিত্ব বজায় রাখতে পেরেই তাঁরা সন্তুষ্ট।

সমতলে বিজেপি সমেত বিরোধীদের এই ফলকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসকে দূরবীন দিয়ে দেখতে হবে।

বিজেপি অবশ্য পাহাড়ের তিন পুরসভায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার জয়ের মধ্যেই আনন্দ খুঁজে পাচ্ছে। কারণ, মোর্চা তাদের শরিক। দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, মিরিকে রিগিং করে জিতেছে তৃণমূল।

সমতলের তিন পুরসভায় শোচনীয় ফল। বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। রাজ্য বিজেপি পারবে তো দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কথা মতো লং জাম্প দিতে? উত্তর মিলবে ভবিষ্যতেই।