বিজেপি এসবের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকারকেই দায়ী করছে। পুলিশ অফিসারের মৃত্যুর পিছনে রয়েছে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ না দিয়েই গুরুঙ্গকে ধরতে বাহিনী পাঠানো হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্য সরকারই এই মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে দাবি করেন তিনি।
রাজ্যের শাসক দল বিজেপি-মোর্চা সম্পর্কের প্রসঙ্গ টেনে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, একটা মৃত্যুকে সামনে রেখে ওরা রাজনীতি করছে। শুধু প্যারেড করাই শিখেছে। রাষ্ট্রদোহিতায় অভিযুক্তদের নায়ক করার চেষ্টা করছে।
এই পরিস্থিতিতে কিছুটা অন্য ছবি ধরা পড়েছে দার্জিলিঙে। এতদিন দেখা যেত, বড় ধরনের কোনও ঘটনা হলে থমথমে থাকত পাহাড়। কিন্তু শনিবার পুরোপুরি স্বাভাবিক ছন্দে ছিল দার্জিলিং। খুলেছে দোকান-পাট, চলেছে যানবাহন।
পাশাপাশি, পাহাড়ে ধরপাকড়ও অব্যাহত রেখেছে পুলিশ-প্রশাসন। ১৫ জুন কালিম্পঙে তৃণমূল অফিসে আগুন লাগানোর ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে গুরুঙ্গপন্থী মোর্চা নেতা দীপক তামাংকে।
অন্যদিকে, রাজনৈতিক মিছিলে স্কুল পড়ুয়াদের সামিল করার অভিযোগে ২৩ অক্টোবর গুরুংকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন ফর প্রটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস।