কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে গাভী-সুমারি করার সিদ্ধান্ত বিজেপি সমর্থিত একটি সংগঠনের।


গো-রক্ষা কমিটি নামে ওই সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১ অগাস্ট থেকে তারা রাজ্যজুড়ে গরু গণনার কাজ শুরু করবে। লক্ষ্য হবে, মানুষের মধ্যে চেতনা বৃদ্ধি করা এবং গরু-নিধন রোধ করা।

সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, সুমারি প্রক্রিয়াটি দুভাগে হবে। প্রথমে দফার গণনা করে গরুর সংখ্যা নথিভুক্ত করা হবে। এরপর সেপ্টেম্বরে বকর-ঈদের পর ফের দ্বিতীয় দফার গণনা করা হবে। সংগঠনের দাবি, প্রতি বছর বকর-ঈদের সময় কয়েক হাজার গরুকে হত্যা করে বাংলাদেশে রফতানি করা হয়।

কমিটির সভাপতি সুব্রত গুপ্ত জানান, যদি দেখা যায় কোনও গৃহস্থে ঈদের আগের ও পরের গণনায় গরুর সংখ্যায় পার্থক্য ধরা পড়ে, তাহলে তদন্ত করা হবে। সেখানে কোনও অসঙ্গতি ধরা পড়লে এফআইআর করা হবে।

তিনি বলেন, এসব (বিপুল নিধন) বন্ধ করতে হবে। তাঁর মতে, এটা সত্যি যে এরাজ্যে গরু-নিধন নিষিদ্ধ নয়। তবে, নিধন করা হলেও তা যাতে নিয়ম মেনে হয়, তা খেয়াল রাখতে হবে।

কি সেই নিয়ম? সুব্রতবাবু জানান, একটি গরুকে তখনই নিধন করা যায়, যখন তা ১৪ বছর পূর্ণ করেছে, কোনও রোগ নেই এবং সর্বোপরি গর্ভবতী নয়। এর জন্য একজন মেডিক্যাল আধিকারিককে দিয়ে নিধনের আগে গাভীটিকে পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। কিন্তু, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চার বছরের একটি গরুকেও অবলীলাক্রমে নিধন করে পাচার করা হয়।

সুব্রতবাবু জানান, এই প্রসঙ্গে তিনি সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীও চান গরু-পাচারে রাশ টানতে। সুব্রতবাবুর মতে, এই দেশ এবং এই রাজ্যের নাগরিক হিসেবে এটা সকলের কর্তব্য এই অন্যায়ভাবে গরু-নিধন রোধ করা।

সুব্রতবাবুর দাবি, গত বছর বকর-ঈদের সময় তাঁরা অভিযান চালিয়ে কয়েক হাজার গরুর অবৈধ বেচা ও নিধন রুখেছিলেন। তিনি জানান, সংগঠনের সদস্যরা বাংলাদেশ সীমান্তের ওপর কড়া নজর রাখে, কারণ সেখাম দিয়েই অধিকাংশ অবৈধ গরু-পাচার হয়ে থাকে। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, এই সংগঠনের বহু সদস্যই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত।