অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার : বিধায়কদের উন্নয়নমূলক কাজ পর্যালোচনা ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য আলিপুরদুয়ারে তৈরি হল বিজেপির ‘বিধায়ক সমন্বয় কমিটি’। জেলার প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় কমিটির পরামর্শেই উন্নয়নের কাজ করবেন বিধায়করা। সম্প্রতি জেলার প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি নিজেই, প্রকাশ্যে দলীয় বিধায়কদের কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।
তারপরই এই কমিটি গঠন। সূত্রের দাবি, জেলার বিজেপি বিধায়কদের কোনও উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়ার আগে এই কমিটির সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। যদিও, একে বিধায়কদের কাজের ওপর নজরদারি বলে মানতে নারাজ জেলা বিজেপি সভাপতি।
আলিপুরদুয়ারের বিজেপি জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা জানিয়েছেন, সবেমাত্র বিধায়ক হয়েছে। আগামীতে যাতে দলীয় কার্যকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাব না ঘটে তার জন্যই এই সমন্বয় কমিটি।
ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মণ জানিয়েছেন, এতে বিধায়কদের বেঁধে রাখবার বিষয় নেই। স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ কোনওমতেই নয়। তবে, দলের বা দেশের সংবিধান মেনে চলা যদি বন্ধন হয় তাহলে তো মুশকিল। ওগুলো বন্ধন না হলে, এটাও না। বরং কাজের ক্ষেত্র আরো মসৃণ হবে।
উল্লেখ্য, অন্যদিকে জলপাইগুড়িতে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। বিধানসভা ভোটে শোচনীয় হারের জন্য জেলা নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের অভিযোগে সরব হলেন দলের পরাজিত প্রার্থী। তাঁর অভিযোগে সুর মেলালেন বিজেপির যুব সংগঠনের নেতা। সব দেখেও চুপ বিজেপির জেলা সভাপতি।
দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন বিধানসভা ভোটে জলপাইগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌজিৎ সিংহ। তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, ‘বিজেপির নেতৃত্বই পরিকল্পনা করে হারিয়ে দিয়েছে। রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের কাছে দলকে বিক্রি করেছে নেতৃত্ব।’
যদিও, বিজেপির কমিটি গঠন নিয়ে কটাক্ষের সুর তৃণমূলের গলায়। তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মৃদুল গোস্বামী জানিয়েছেন, বিজেপির কোনও কমিটিই ধোপে টিকবে না। এইসব কমিটি আলঙ্কারিক ব্যাপার। কাজ করতে হলে মানুষের কাছে যেতে হয়, কাজ করতে হয়।
যদিও এই ‘সমন্বয় কমিটি’ উন্নয়নে গতি আনতে না কি, দলীয় অসন্তোষ ঠেকাতে, তা সময় বলবে।