সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: জামাইষষ্ঠীর পর দিনই জামাইয়ের মর্মান্তিক পরিণতি। রহস্যমৃত্যু হল জামাই- এর। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের শ্রীপুর গ্রামে। গাছের সঙ্গে দড়ি বাঁধা দেহ উদ্ধার হয় ঘাটালের শ্রীপুর গ্রাম থেকে। মৃতের পরিবাররের তরফে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।


জামাইষষ্ঠীর পরদিনই শ্বশুরবাড়ি সংলগ্ন বাগানে মিলল মৃতদেহ। জামাইয়ের রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। গাছের সঙ্গে দড়ি বাঁধা দেহ উদ্ধারে ঘনীভূত হয়েছে রহস্য। খুনের অভিযোগে শ্বশুরবাড়িতে বিক্ষোভদেখান মৃতের আত্মীয়রা।  


জানা গিয়েছে, মৃত শুকদেব কুইলা ঘাটালের নবগ্রামের বাসিন্দা। মৃতের পরিবার সূত্রে দাবি, ছয় বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়। চার বছরের একটি সন্তানও আছে। বছর দুই আগে, দাম্পত্য কলহের জেরে সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান ওই ব্যক্তির স্ত্রী। তারপর শুরু হয় বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা । 


শুকদেবের পরিবারের অভিযোগ, 'মাস চারেক আগে শুকদেবের স্ত্রীর অন্যত্র বিয়ে দেওয়া হয়। আইনি বিচ্ছেদের আগেই মৃতের স্ত্রী-র বিয়ের অভিযোগ তুলেছে শুকদেব কুইলার পরিবার। আর এই পরিস্থিতিতে বছর ৩০-এর এই যুকবের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে দানা বেঁধেছে রহস্য। খুনের অভিযোগ করেছেন মৃতের আত্মীয়রা। প্রতিবাদে এদিন তাঁরা অভিযুক্তদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান।


মৃতের আত্মীয় অশোক কুইলা জানিয়েছেন, ' হঠাৎ করে এখানে এসে কীভাবে মারা গেল বুঝতে পারছি না। খুন বলেই সন্দেহ হচ্ছে আমাদের। শ্বশুরবাড়ির লোকের হাত থাকতে পারে বলেই অভিযোগ ওই আত্মীয়ের। অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছে মেয়ের পরিবার। মৃতের শাশুড়ি মিনতি দলুই-এর কথায়, 'আমার বাড়িতে এসেছে বলে জানি না। সকালে দেখি গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে দেহ।'


পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনায় আটক করা হয়েছে মৃতের শ্বশুর, শাশুড়ি ও শ্যালককে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে কী করে ওই যুবক ওখানে গেলেন, ঠিক কীভাবেই বা তাঁর মৃত্যু হল। মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট মিললেই বাকি রহস্য খোলসা হবে বলে মনে করছে পুলিশ।