কলকাতা: ধীরে ধীরে কাটছে আশঙ্কা মেঘ। রাজ্যের করোনা গ্রাফ ক্রমশ নিম্নমুখী। রাজ্যে একদিনে করোনায় ৬৪ জনের মৃত্যু। রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ১৮ জন। এখনও দৈনিক সংক্রমণ-মৃত্যুতে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা।


আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩১ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬৬ জন। মৃতের সংখ্যা ১১। রাজ্যে সংক্রমণের তুলনায় সুস্থতার হার ৯৭ শতাংশ।


গতকালের বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ হাজার ১৮৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃ্ত্যু হয়েছিল ৬৯ জনের। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে সংক্রমণের তুলনায় সুস্থতার হার ৯৭ শতাংশ। অর্থাৎ গতকালের তুলনায় দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃতের সংখ্যা কমেছে। 


গতকাল, বুধবারের স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য বলছে,উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩৫। মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। কলকাতায় একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৭৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। দুই জেলাতেই একদিনের হিসেবে কমেছে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা। মৃতের সংখ্যা কমেছে কলকাতায়। তবে দুদিনই মৃত্যু সংখ্যা একই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়। 


এদিকে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ কমলেও করোনা চিকিৎসার জন্য বিপুল অঙ্কের বিলের অভিযোগ উঠল। রোগীর পরিবার জানাচ্ছে, বিল মেটাতে গিয়ে বিক্রি করতে হয়েছে গয়না, গাড়ি। শুধু তাই নয়, বিল মেটাতে নিউটাউনের ফ্ল্যাট বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করোনা আক্রান্তের পরিবারের।


১৬ মে থেকে করোনা আক্রান্ত হন বাগুইআটির বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে খবর, করোনা চিকিৎসার জন্য প্রথমে ভর্তি করা হয় ডিভাইন হাসপাতালে। বাগুইআটির ডিভাইন হাসপাতালে ৪ লক্ষ টাকা বিল মেটানো হয়। ২৮ মে ভর্তি করা হয় সল্টলেকের আমরি হাসপাতালে। ২৮ মে থেকে ভেন্টিলেশনে, গত সাতদিন ধরে ছিলেন ‘একমো’ সাপোর্টে। সল্টলেকের আমরি হাসপাতালে ২০ লক্ষ টাকা বিল হয়েছে বলে দাবি করোনা আক্রান্তের পরিবারের।