বীরভূম: বীরভূমের সভা থেকে তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র। দুষ্কৃতীদের রুখতে প্রয়োজনে বন্দুক তুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলীপ ঘোষের। গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল।
এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, তৃণমূল সরকারকে ফেলে তবে স্বস্তি। তিনি বুঝিয়ে দেন লড়াইয়ের দামামা বাজতে যে দেরি নেই। বললেন, পঞ্চায়েত থেকে লড়াই শুরু হবে। পাল্টা তৃণমূলের গলায় কটাক্ষের সুর।
দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, চতুর্থ শ্রেণির ফুটবল যারা খেলে, তারা ফার্স্ট ডিভিশনে এলে সময় লাগবে। রামনবমী ও হনুমানজয়ন্তীর মিছিলে তৃণমূল সরকার বাধা দিয়েছে, এই অভিযোগে সোমবার সিউড়িতে মিছিল ও তারপর সভা করে বিজেপি। অংশ নেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা।

তবে তৃণমূল এই মিছিলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। দলের পর্যবেক্ষক (বীরভূম) ফিরহাদ হাকিম বলেন, মিছিল অনেকেই করবে। জিতবে সেই তৃণমূলই। বিজেপি অবশ্য এদিন আগাগোড়াই তৃণমূলকে বিদ্ধ করার চেষ্টা করে গিয়েছে। কখনও দুর্নীতির অভিযোগে। যখন তিনি বলেছেন, মন্ত্রীদের অর্ধেক জেলে। মমতা বলেছেন জেলে ভাল ঘর রাখতে। আরও আসবে। যাদের বিরুদ্ধে এফআইআর, তারা ইস্তফা দিন।

তো আবার কখনও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগে। রাজ্য বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, আমাদের মারা হচ্ছে জায়গায় জায়গায়, আমরা অহিংসার রাজনীতি পছন্দ করি, কিন্তু জল মাথার উপর দিয়ে বয়ে গেলে কর্মকর্তারা বুঝে নেবে। আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ করতে গিয়ে এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখেই আবার শোনা গিয়েছে হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারি। বললেন, দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবই। সেজন্য বন্দুক, তলোয়ার ধরতেও আপত্তি নেই।

পাল্টা সুর চড়িয়েছে তৃণমূলও। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ধরুক অস্ত্র। প্রশাসন দেখবে। সংবাদে শিরোনামে আসার জন্য বলছে। গদি বাঁচাতে করছে। ভয়ের রাজনীতি এরকম দেখেনি বাংলা। অস্ত্র নিয়ে লাভ হয়নি। প্রমাণিত। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন, হিম্মত থাকলে বেরোক। দেখা যাবে।

অনুব্রতর গড়ে দাঁড়িয়ে তাঁর শব্দবন্ধ ধার করেই তাঁকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতারা। দিলীপ ঘোষ বলেন, কে কার ঢাক বাজাবে বোঝা যাবে পঞ্চায়েতে। এদের দম জানা হয়ে গেছে। জেলা প্রেসিডেন্ট বলেছিল বোমা মারতে। এখন কার পিছনে বোমা ফাটছে?

স্বভাবসিদ্ধভঙ্গীতে জবাব দিয়েছেন অনুব্রতও। বলেছেন, দিলীপ ঘোষ বলছে চামড়া নেবে। নিজের চামড়া ঠিক রাখুক। সব মিলিয়ে গ্রীষ্মের গরমে রাজনৈতিক পারদ ক্রমেই বাড়ছে।