Prabir Ghoshal Posters:‘তৃণমূলে ফেরানো যাবে না’, এবার প্রবীর ঘোষালের বিরুদ্ধে পোস্টার কোন্নগরে

কয়েকদিন আগেই তিনি বলেছিলেন, দিন পনেরো আগে আমার মাতৃ বিয়োগের পর সমবেদনা জানিয়ে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফোনে খোঁজ নেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক ও সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির স্থানীয় নেতারা খোঁজ নিলেও, যোগাযোগ করেননি রাজ্য নেতারা।

Continues below advertisement

হুগলি: হুগলির কোন্নগরের একাধিক জায়গায় প্রবীর ঘোষালের বিরুদ্ধে  পোস্টার। ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন প্রবীর ঘোষাল। তাঁর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের জল্পনার মধ্যেই এই পোস্টার পড়েছে।পোস্টার দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের নামে। কোন্নগরের বিভিন্ন জায়গায় এই পোস্টার পড়েছে। এগুলিতে বলা হয়েছে, ‘মধুচক্রের নায়ক, গদ্দার প্রবীর ঘোষালকে তৃণমূলে নেওয়া যাবে না।’
উত্তরপাড়ার প্রাক্তন বিধায়কের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের জল্পনার মধ্যেই এই পোস্টার পড়েছে। কয়েকদিন আগেই বেসুরো গেয়েছিলেন প্রবীর ঘোষাল।  কয়েকদিন আগেই তিনি বলেছিলেন, দিন পনেরো আগে আমার মাতৃ বিয়োগের পর সমবেদনা জানিয়ে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফোনে খোঁজ নেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক ও সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির স্থানীয় নেতারা খোঁজ নিলেও, যোগাযোগ করেননি রাজ্য নেতারা। এভাবে অভিমান ঝরে পড়েছিল প্রবীর ঘোষালের গলায়। পাশাপাশি, তাঁর দাবি, অনেকবার খোঁজ নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
একইসঙ্গে তিনি বলেছিলেন,  রাজনীতি থেকে দূরে রয়েছি, এখনও দল পরিবর্তনের কথা ভাবিনি। 
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়েরও তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে জল্পনা চলছে। তা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। হাওড়ার সলপ ও ডোমজুড়ে রাজীবকে দলে ফেরানোর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে ফেরার বিরোধিতাও চলেছে। পথে নেমেছেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। সলপ বাজার থেকে বটতলা পর্যন্ত মিছিল করে হাওড়া-আমতা রোড অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীরা। এনিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এরইমধ্যে নোয়াপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা সুনীল সিংহও বেসুরো গেয়েছেন। মুকুল রায় তৃণমূলে ফেরার পরই তিনি বেসুরো গেয়েছেন। তাঁকে দলে ফেরানো নিয়েও আপত্তি জানিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের একাংশ। তাঁর সাংবাদিক বৈঠক করে সুনীল সিংহকে দলে ফেরানোর বিরোধিতা করেন। 

Continues below advertisement

এবার প্রবীরের বিরুদ্ধেও পোস্টার পড়ল। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, দলে কে ফিরবেন, কাকে ফেরানো হবে বা কাকে ফেরানো হবে না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই এ ধরনের পোস্টারে দলের অনুমোদন নেই।

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola