কলকাতা: কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়তে চান হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন বলে জানান তিনি। বিজেপি সাংসদের দাবি, রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের হিংসার হাত থেকে রক্ষা করতে পারছেন না তিনি। তাই তিনি নিজেও নিরাপত্তা নিতে চান না। লকেট ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে এইভাবে সরব হওয়ায় পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও। 


রাজ্যে তৃতীয়বার তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভোটপরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। শাসকদলের হামলায় তাঁদের একাধিক কর্মী সমর্থক ঘরছাড়া বলে বারবার অভিযোগ তুলছে গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দেওয়া নিরাপত্তা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।


কেন্দ্রের তরফে CISF-এর ওয়াই শ্রেণির নিরাপত্তা পেতেন লকেট। তাঁর অভিযোগ, ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকে গোটা রাজ্যে বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। আর সেই প্রতিবাদেই রবিবার নিরাপত্তারক্ষীদের আসতে নিষেধ করে দেন তিনি। 


তাঁর দাবি, ভোটের পর থেকে আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের রক্ষা করতে পারছেন না লকেট। তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি সাংসদের দাবি, ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা ছাড়তে চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে তিনি চিঠি দিয়েছেন। যদিও লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, এটা হটকারি সিদ্ধান্ত নয়, ভেবেচিন্তে বহুদিন ধরেই নিরাপত্তা ছাড়তে চাইছিলেন তিনি। আজ অবশেষে সেই প্রক্রিয়া কিছুটা এগিয়েছে।


শনিবারই কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী এবং তাঁর ছেলে তথা তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে ওয়াই ক্যাটিগরির নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই পরিস্থিতিতে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। 


তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'হিংসা নিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন লকেট, এখন তো তত্‍কালদের দিতে হবে। তাই আগেভাগে নিরাপত্তা ছাড়ার কথা জানিয়ে রাখলেন।' পাশাপাশি রাজনৈতিক হিংসা নিয়েও বিজেপির অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাওয়া ও ছাড়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তুঙ্গে।