Soumitra Khan on Jangalmahal: পৃথক জঙ্গলমহল রাজ্যের দাবি বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর, তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা

বীরভূম, বর্ধমান, দুর্গাপুর, আসানসোল, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুর আর হুগলির কিছুটা অংশ নিয়ে ১৮০৩-১৮৩২ পর্যন্ত যে পৃথক জঙ্গলমহল জেলা ছিল, সেটিকেই আলাদা রাজ্য করা হোক বলে দাবি সৌমিত্রর।

Continues below advertisement

কলকাতা: এবার পৃথক জঙ্গলমহল রাজ্যের দাবি করলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এর আগে উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি তুলেছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। ঘটনায় ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।  

Continues below advertisement

এলাকার মানুষের উন্নয়ন ও চাকরির জন্যই পৃথক জঙ্গলমহল রাজ্যের প্রয়োজন। বীরভূম, বর্ধমান, দুর্গাপুর, আসানসোল, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুর আর হুগলির কিছুটা অংশ নিয়ে ১৮০৩-১৮৩২ পর্যন্ত যে পৃথক জঙ্গলমহল জেলা ছিল, সেটিকেই আলাদা রাজ্য করা হোক বলে দাবি সৌমিত্রর। এদিন তিনি বলেন, “নিজেদের বাঁচাতে এবং বাংলার মানুষের চাকরির জন্য, উন্নয়নের জন্য আমরা জঙ্গলমহল রাজ্যের দাবি তুলতেই পারি। এটা কোনও রাজ্যের বিরুদ্ধে নয়। মণিপুর-মিজোরাম আছে, তারা ডেভেলপমেন্ট করছে।’’  

এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “দায়িত্ব জ্ঞানহীন প্রচারমুখী মন্তব্য। ঝাড়গ্রাম সহ যে জেলার নাম সৌমিত্র খাঁ বললেন সেখানে গোহারা হেরেছে বিজেপি। এটা বিজেপির গেম প্ল্যান। পরাজয়টা মানতে পারছে না। রাজ্যের পরিস্থিতি নষ্ট করার চেষ্টা। ওরা এখন টুকরে টুকরে ফর্মুলা নিয়ে রাজনৈতিক চক্রান্ত করছে।’’ আদি বিজেপি, তৎকাল বিজেপি, পরিযায়ী বিজেপিদের জন্য এলাকা করতে পারে বলে কটাক্ষ করেছেন কুণাল ঘোষ।

পশ্চিমবঙ্গ ভেঙে উত্তরবঙ্গের দাবি তুলেছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। গতকাল তিনি বলেন, ২ তারিখের পর যে সন্ত্রাস হয়েছে, তারপর এখান থেকে আওয়াজ উঠেছে যে নর্থবেঙ্গল আলাদা হলে আমরা সুরক্ষিত থাকব। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি আলাদা রাজ্য চান? আলাদা রাজ্য হলেও ভাল, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হলেও ভাল। ইতিমধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে ৪টি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল।

বিজেপি রাজ্য দিলীপ ঘোষের অবশ্য দাবি, পৃথক রাজ্যের দাবিকে তারা সমর্থন করে না।তিনি বলেন,  রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার যা অবস্থা, তলানিতে এসেছে, সেখানে দাঁড়িয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে কেউ কেউ এসব বলছেন। দল একে অনুমোদন করে না। দল পশ্চিমবঙ্গকেই বিশ্বাস করে। যদিও বিজেপি কড়া ভাষায় তোপ দাগেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর কথায়, বিজেপি রেজিমেন্টেড পার্টি, তাদের পার্টির নেতা জানে না, আরেক নেতা কী বলছে। এটা আমি বিশ্বাস করি না। বাংলায় পরাজয়ের গ্লানি বিজেপি মেনে নিতে পারছে না।

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola