পুরুলিয়া ও কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটে এবার পুরুলিয়ায় ভাল করেছে বিজেপি। তৃণমূলকে হারিয়ে বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতি দখলও করেছে তারা। বৃহস্পতিবার সেই পুরুলিয়ায় দাঁড়িয়েই বাংলায় পরিবর্তনের হুঙ্কার ছাড়লেন নরেন্দ্র মোদির সেনাপতি অমিত শাহ।
তিনি বলেছেন, ২০১৯-এ ভোট আগামী বাংলা সরকারের ভিত তৈরি করবে। ১৯ রাজ্যে জিতে রথ বাংলায় পৌঁছেছে। এবার কাদের পালা?
অমিত শাহর এদিনের বক্তব্য শুনে অনেকে বলছেন, বছর ঘোরার আগেই এরাজ্যে কার্যত লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি! তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে কার্যত স্লোগানের লড়াইও তুঙ্গে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দলের স্লোগান তুলে ধরে বলেছেন,এবার বাংলা, পারলে সামলা।
পাল্টা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, আগে তো দিল্লি সামলান, পরে বাংলার কথা ভাববেন।


সূত্রের খবর, রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব অমিত শাহর হাতে ২২টি লোকসভা কেন্দ্রের একটি তালিকা দেন। যেখানে জয়ের সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল বলে তাঁরা মনে করছেন। এদিন পুরুলিয়ায় দাঁড়িয়ে অমিত শাহ অবশ্য চড়া সুরে জানিয়েছেন, বাংলায় তাঁদের টার্গেট ২২ নয় ২৩।
তৃণমূল অবশ্য মোদির সেনাপতির চ্যালেঞ্জে কোনও গুরুত্বই দিতে নারাজ। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ১৯-এর ভোটেই বিজেপির ভরাডুবি হবে। আগে তো ওরা দিল্লি সামলাক।
এদিন সকালে তারাপীঠে পুজো দিয়ে পুরুলিয়া পৌঁছোন অমিত শাহ। তারপরই তৃণমূল সরকারকে লক্ষ্য করে ছাড়েন হুঙ্কার।
বলেছেন, বিজেপির কর্মীদের শক্তি দিন, তারা মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছি। শাসক দলকে গদিচ্যুত করতে প্রার্থনা করেছি।
পাল্টা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিমের গলায় শোনা গিয়েছে কটাক্ষের সুর।
কয়েকমাস আগেই ত্রিপুরায় আড়াই দশকের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। এদিন অমিত শাহর গলায় উঠে এসেছে সেই প্রসঙ্গও। বলেছেন, ত্রিপুরায় বামেরা হেরেছে। বিজেপি এসেছে। এখন ত্রিপুরা উন্নয়নের পথে হাঁটছে।
পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, শূন্য কলসির আওয়াজ বেশি।
সব মিলিয়ে লোকসভা ভোটের প্রায় এক বছর বাকি থাকতেই তৃণমূল-বিজেপি বাগযুদ্ধে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি।