কলকাতা: 'মহাভারতে অশ্বত্থমার জন্য দ্রোণাচার্য অধর্মের পথ নিয়েছিল। আর শিষ্য অর্জুনের হাতে মৃত্যু হয়েছিল দ্রোণাচার্যের।' মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফেরার প্রসঙ্গে শুক্রবার মহাভারত টেনে এমনটাই বললেন ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। এ দিন মুকুলকে আগাগোড়া চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন সৌমিত্র।
বলেন, 'আমি আজ ধর্মের সঙ্গে থাকব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমি শ্রীকৃষ্ণ মনে করছি।' এর আগে মুকুল পুত্র শুভ্রাংশুকে নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। রাজীবকে নিয়েও চর্চা শোনা গিয়েছিল তাঁর গলায়। এবার মুকুল রায়কে নিয়ে সুর চড়ালেন বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ। এ দিন মুকুল রায়কে বাংলার মিরজাফর বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। এই মিরজাফর বাংলার অনেক ক্ষতি করবে বলেও মন্তব্য করেছেন সৌমিত্র।
মুকুলকে আক্রমণ করে সৌমিত্র বলেন, 'স্বাধীনতার আগে আমরা মিকজাফর দেখেছি, আর রাজনীতির মিরজাফর উনি। উনি যদি রাজনৈতিক চাণক্য হতেন তাহলে ছেলেকে বীজপুর থেকে জেতাতে পারতেন। মিরজাফররা কখনও ভাল হতে পারে না। এই মিরজাফর বাংলার অনেক ক্ষতি করবে। তৃণমূল বাংলাকে যে অন্ধকারে নিয়ে যাচ্ছে এই ঘটনায় তা প্রমাণ হল।'
তিন বছর ৯ মাস পর বিজেপি ছেড়ে আজ মুকুলের ঘর ওয়াপসি। বিজেপি বিধায়াকের তৃণমূল-যোগে বঙ্গ বিজেপির অস্বস্তি বেড়েছে। এরপর একের পর এক বিজেপির নেতার মন্তব্য আগুনে কার্যত ঘি ঢেলেছে। সবমিলিয়ে মুকুলের ঘাসফুলে প্রত্যাবর্তনে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। আজ বিকেল সাড়ে চারটের সময়ে মুকুলকে সঙ্গে নিয়েই সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন মুকুল রায়।
পাশাপাশি মুকুলের ফেরা নিয়ে মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা শীলভদ্র দত্ত। এদিন তিনি বলেন, 'মুকুল যা করেছেন তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে এই বারবার পথ পরিবর্তনের কারণেই রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি মানুষের বিতৃষ্ণা বাড়ে।' মুকুল রায়ের বিজেপি ত্যাগের পরই জল্পনা শুরু হয়েছে তাঁর অনুগামীদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে। মুকুল অনুমাগী বলেই পরিচিত বিজেপি নেতা শীলভদ্র দত্ত। মুকুলের সঙ্গে কি তৃণমূলে ফিরবেন তিনিও? যদিও বিজেপি নেতা শীলভদ্র এই প্রশ্ন উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, 'এখনও এরকম কোনও পরিকল্পনা নেই। যেখানে রয়েছেন সেখানেই থাকব।'