কলকাতা: মমতাকে দেখে তৃণমূলে এসেছি। তাই প্রস্তাব এলেও বিজেপিতে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। মন্তব্য কোচবিহারের দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহর! দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূল নেতাদের জেলে ভরার হুঁশিয়ারি বিজেপির রাজ্য সভাপতির। ভয়ের রাজনীতি বাংলায় অচল! পাল্টা তৃণমূল।


অরাজনৈতিক সভাই কি এখন রাজনৈতিক ইঙ্গিত দেওয়ার সবচেয়ে বড় মঞ্চ হয়ে দাঁড়াচ্ছে? প্রথমে শুভেন্দু অধিকারী। এখন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, “প্যারাসুটেও নয়, লিফটেও নয়, সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে উঠেছি।” শনিবার তৃণমূল বিধায়ক ও বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,  “যেখানে মানুষ মনের কথা বলতে পারে, সেখানেই থাকব। এখনও আমি তৃণমূলের সদস্য, তৃণমূলের মন্ত্রিসভায় আছি, দলের কথা দলের কাছেই বলব। দেখুন ধীরে ধীরে কী হয়।”

ভোটের আগে কি ভাঙতে চলেছে তৃণমূল, এই জল্পনা এখন তুঙ্গে। এরইমধ্যে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন শাসক দলের এক হেভিওয়েট বিধায়ক। কোচবিহারের দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি বিজেপি–তে যান, একমাত্র তবেই আমি বিজেপি–তে যাব। বিজেপি থেকেও অনেক প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু আমি যাব না। কারণ আমি তৃণমূলের আদর্শ নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে তৃণমূল করতে এসেছি। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি কখনও বিজেপি–তে যান, তবেই আমি বিজেপি–তে যাব। যতদিন তিনি তৃণমূলে আছেন, ততদিন আমি বিজেপি–তে যাব না।“ তিনি যোগ করেন, “গত ১০ দিন কলকাতায় ছিলাম আর এখানে রটে গিয়েছে যে উদয়ন গুহ বিজেপি–তে যেতে পারে। লোকজন বলতে শুরু করেছে, এটাও হতে পারে যে উদয়ন গুহ টিকিট পাবে না, তাঁকে কোচবিহার দক্ষিণে দিতে পারে। তাই ধরাধরি করতে গিয়েছে, টাকাপয়সা দিতে গিয়েছে, যাতে দিনহাটায় টিকিট পেতে পারে। পুরসভার প্রশাসক পদ চলে যাবে ভেবে দলীয় নেতৃত্বকে টাকাপয়সা দিতে কলকাতায় গিয়েছে।“

একদিকে বিজেপির হুঁশিয়ারি। অন্যদিকে তৃণমূলের চ্যালেঞ্জ। পটাশপুর থেকে দিলীপ ঘোষ এদিনই বলেন, “রাজ্য পুলিশ- দিদি এবং ভাইপো যারা রয়েছেন, প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা জেল নির্দিষ্ট করে রেখেছি। যারা বেশি ধরনের কাজ করেছে তাদের জন্য ভুবনেশ্বর খোলা আছে। ২১-আর কয়েকটা দিন বাকি। মার্চ-এপ্রিলে ভোট। সেই ভোটে জিতে নতুন এবং সোনার বাংলা গড়ব।“

বারুইপুরের মঞ্চ থেকে আবার যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী বলেন, “ভয় দেখানোর রাজনীতি বাংলায় চলবে না। আমাদের মাথার উপর একটাই নাম মমতা। বাংলাকে সোনার বাংলা করার স্বপ্ন দেখেছেন মমতাই।“

সব মিলিয়ে তুঙ্গে ভোট রাজনীতি।