কলকাতা: ‘বিজয়া সম্মিলনীতে সকলকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। হয়তো কেউ ফোন ধরেননি।’ বিজেপি-র বিজয়া সম্মিলনীতে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ বিতর্কে মন্তব্য রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।

শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গোলপার্কের ফ্ল্যাটে শুক্রবার রাতে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন এবং রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী। এরপর রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা শুরু হয়, অবশেষে বিজেপি-তে সক্রিয় হবেন শোভন। কিন্তু এই বৈঠকের কয়েকঘণ্টার মধ্যেই বিজেপি-র সঙ্গে সম্পর্কের তাল কাটল শোভন-বৈশাখীর। শোভনের দাবি, রবিবার বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীতে হাজির থাকার জন্য বৈশাখীর মোবাইল ফোনে ফোন করে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু বৈশাখীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ঘটনায় ক্ষুব্ধ শোভন সুর চড়িয়েছেন দলের একাংশের বিরুদ্ধেই। তাঁর দাবি, বিভাজনের রাজনীতি করা হচ্ছে।

প্রায় ১৪ মাস আগে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন শোভন ও বৈশাখী। তার কয়েক দিন পর থেকেই টানাপোড়েনে দলের সঙ্গে শোভন-বৈশাখীর দূরত্ব তৈরি হয়। মাঝপর্বে কখনও ভাইফোঁটায় মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে শোভনের যাওয়া, কখনও শোভন-বৈশাখীর একসঙ্গে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্‍সবে হাজির হওয়া, আবার কখনও নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈশাখীর বৈঠক। এ সব ঘটনায় শোভনকে নিয়ে জল্পনা মাথাচাড়া দেয়। এর মধ্যেই গত ৬ নভেম্বর কলকাতায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক করেন শোভন-বৈশাখী। বুঝিয়ে দেন, তাঁরা দু’জনেই সক্রিয় হবেন বিজেপিতে। সেই সূত্রেই শুক্রবার রাতে দীর্ঘ বৈঠক। কিন্তু শনিবার সকালেই ছন্দপতন। এখন দেখার, বিজয়া সম্মিলনীতে দু’জনে হাজির হন কি না।

রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য আশাবাদী, জট কাটবে, দু’জনেই আসবেন বিজয়া সম্মিলনীতে। আজ সকালে রবীন্দ্র সরোবরের সাফারি পার্কে প্রাতর্ভ্রমণে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এরপর যান আরএসএস-এর ক্যাম্পে। সেখান থেকে বেরিয়ে যোগ দেন চা-চক্রে। সেখানেই শোভন-বৈশাখী বিতর্কে মুখ খোলেন দিলীপ।

গতকাল বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ দাবি করেন, সৌগত রায় সহ তৃণমূলের পাঁচজন সাংসদ বিজেপি-তে যোগ দেবেন। এ বিষয়ে দিলীপ বলেছেন, ‘সৌগত রায় কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে এসেছিলেন। পরিবর্তন হতেও পারে। অর্জুন সিংহ ওই দলেই ছিলেন। তিনি পুরনো বন্ধু। ওঁদের ব্যাপারটা ভালোই বোঝেন।’