কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের সুরক্ষায় কি থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী? স্পষ্ট করল না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আধা সেনা না থাকলে ভোট লুঠ নিশ্চিত বলে আশঙ্কা জানাল বিরোধীরা। তারা অভিযোগ করেছিল, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে কিছুই বলতে পারেননি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। প্রচারের জন্য অন্তত ৪৫ দিন রাখার দাবিও তুলেছিল বিরোধীরা। যদিও ওই বৈঠকের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে দিল কমিশন।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কমিশনের ঘোষণার বিরোধিতা করে বলেন, ১৯৯৯ সালে তৃণমূল আদালতে গিয়েছিল পরীক্ষার সময় যাতে ভোট না হয়। ক্ষমতায় এসে নিজেরাই সেটা করল। রাজ্যের কথা মেনে কমিশন এটা করেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি সম্ভবত রাজ্য মানেনি। তবে আমরা প্রস্তুত আছি।
পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্টের বিরোধিতা করে আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ বলেন, আমরা আদালতে যাব।

পঞ্চায়েত ভোটের সূচি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য সুজন চক্রবর্তীও।

পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে বিরোধীরা একযোগে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি তুলেছিল। কিন্তু এ নিয়ে শনিবার অবস্থান স্পষ্ট করেননি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্রকুমার সিংহ। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি এই উত্তর দেব না।
বিরোধীদের আশঙ্কা, কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে ভোট লুঠ হবে। কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট অসম্ভব। তৃণমূল বনাম তৃণমূলের খুনোখুনি শুরু হয়েছে। না হলে এই ভোট লুঠ হবে। ভোটের নামে প্রহসন হবে। মানুষ দেখেছে তৃণমূলের অপশাসন। তীব্র বিরোধিতা করছি। মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম দ্বিতীয় দফায় শুধু। অসত উদ্দেশ্য।
তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, বিরোধীদের কোনও ইস্যু নেই। তাই ভয় পাচ্ছে। মমতার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন, তাতে ভয় আছে। ৭ বছরে ঐতিহাসিক কাজ হয়েছে। ওরা নির্বাচন ফেস করতে চাইছে না।
১, ৩ এবং ৫ মে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হবে।
বুথের সংখ্যা ৫৮ হাজার ৪৬৭। নবান্ন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে সাড়ে ৩ লক্ষ ভোটকর্মী এবং ৩৫০ জন পর্যবেক্ষক চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। শনিবার কমিশনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরপরই নবান্নে পঞ্চায়েতমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।