রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্রকুমার সিংহ জানিয়েছেন, ২ এপ্রিল মনোয়নন জমার কাজ শুরু। শেষ দিন ৯ এপ্রিল। ১১ এপ্রিল স্ক্রুটিনি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিল ১৬ এপ্রিল। ২০টি জেলাতেই ভোটগ্রহণ করা হবে সকাল সাতটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। পঞ্চায়েত ভোটের গণনা হবে ৮ মে।
প্রথম দফায় যে ১২টি জেলায় ভোট হবে সেগুলি হল, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর। ৩ মে দ্বিতীয় দফায় মাত্র দু’টি জেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে। এই দু’টি জেলা হল মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম। তৃতীয় দফায় ভোট হবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। এই জেলাগুলি হল কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদা।
রাজ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন ৪৮ হাজার ৬৫০। পঞ্চায়েত সমিতির ৯ হাজার ২১৭টি আসনে ভোট হবে। জেলা পরিষদের আসন সংখ্যা ৮২৫। ভোটকেন্দ্র ৪৩ হাজার ৬৭টি। ৫৮ হাজার ৪৬৭টি বুথে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন ৫ কোটি ৮৩ হাজার ৫ হাজার ২ জন ভোটার। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রয়োজনে প্রথম দফার পঞ্চায়েত ভোটের পুনর্নির্বাচন হবে ৩ মে। দ্বিতীয় দফায় প্রয়োজন হলে পুনর্নির্বাচন ৫ মে। তৃতীয় দফায় পুনর্নির্বাচনের প্রয়োজন হলে, সেটা হবে ৭ মে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এই ঘোষণার ফলে, শনিবার থেকেই চালু হয়ে গেল আদর্শ আচরণ বিধি। তবে দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে পঞ্চায়েত ভোট হচ্ছে না।