মুর্শিদাবাদ: অধীর চৌধুরীর মুর্শিদাবাদে ফের তৃণমূলের হানা। কান্দি পুরসভার পর এবার কান্দি পঞ্চায়েত সমিতিও নিজেদের দখলে নিয়ে নিল রাজ্যের শাসক দল।
৩০ আসনের কংগ্রেস পরিচালিত কান্দি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত ত্রিবেদী-সহ ২৩ জন সদস্য, রবিবার, যোগ দিলেন তৃণমূলে। এর মধ্যে  ২২ জন কংগ্রেসের। একজন সিপিআইয়ের।
২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে, কান্দি পঞায়েত সমিতিতে মাত্র ৬টি আসনে জিতেছিল তৃণমূল। কংগ্রেস জিতেছিল বাইশটি আসনে। বামেরা দুটিতে। এ দিনের দলবদলের ফলে তৃণমূলের আসন সংখ্যা ৬ থেকে বেড়ে হল উনত্রিশ। বিরোধীরা মাত্র ১। কান্দি পঞ্চায়েত সমিতির দলত্যাগী সভাপতি সুকান্ত ত্রিবেদী বলেন, এলাকার মানুষের দাবি মতোই যোগ দিলাম। মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল সভাপতি মান্নান হোসেনের দাবি, মুর্শিদাবাদে একমাত্র তৃণমূল থাকবে। সিপিএম-কংগ্রেস ধুয়ে মুছে সাফ হবে।
কংগ্রেসের অস্বস্তি এ দিন আরেক কারণেও বেড়েছে। কারণ, এ দিন জার্সি বদলে তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন অধীর চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত, কান্দির কংগ্রেস বিধায়ক, অপূর্ব সরকারের দাদা পার্থপ্রতিম সরকারও। দাদার পথে কি ভাইও হাঁটবেন? এপ্রসঙ্গে মান্নান হোসেন বলেন, অপূর্ব সরকার ২-১দিনের মধ্যে যোগ দেবেন। আরও কয়েকজন এমএলএ যোগ দেবেন।
এ নিয়ে কংগ্রেস বিধায়ক অপূর্ব সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি এখনই এ বিষয়ে কিছু খোলসা করতে চাননি। এ দিনই, পুরুলিয়ার ঝালদার এক নম্বর ব্লকের এষাহাতু গ্রাম পঞ্চায়েত কংগ্রেসের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল।