নৈহাটি: নৈহাটির লজে যুগলের অস্বাভাবিক মৃত্যু। একজন খুন, আত্মঘাতী অপরজন।

কোনও আকস্মিক ঘটনা নাকি পরিকল্পনামাফিক? পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখে পুলিশের অনুমান, যা হয়েছে, সবটাই পূর্বপরিকল্পিত।

কিন্ত, কীসের ভিত্তিতে গোটা ঘটনা পরিকল্পনামাফিক বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা?

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ছাপানো সুইসাইড নোট। যা দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, তিনি আত্মঘাতী হবেন, তা আগে থেকেই ঠিক করে নিয়েছিলেন অটল সেন। সেজন্য কম্পিউটারে সুইসাইড নোট লিখে প্রিন্ট আউট বের করেছিলেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া ছুরি দিয়েই খুন করা হয়েছিল আরতি গায়েনকে। তদন্তকারীদের অনুমান, ছুরিটি সঙ্গে করে এনেছিলেন অটল।

এখানেই তদন্তকারীদের প্রশ্ন, কোনও কারণ ছাড়া, কেন ছুরি নিয়ে সঙ্গীর সঙ্গে দেখা করতে আসবেন অটল সেন। এই সব তথ্যপ্রমাণ দেখে, তদন্তকারীদের অনুমান, পরিকল্পনামাফিকই আরতিকে খুন করে আত্মঘাতী হন অটল।

কিন্তু, কেন এই পথ বেছে নিলেন বারুইপুর থানা এলাকার সুভাষগ্রামের বাসিন্দা অটল সেন?

তদন্তকারীদের অনুমান, সইসাইড নোট দেখে এটুকু স্পষ্ট যে, তাঁদের সম্পর্কের যে কোনও পরিণতি নেই, সেবিষয়ে যুগলের কোনও সন্দেহ ছিল না।

সেজন্যই কি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কোনও ভবিষ্যৎ নেই, এই কথা চিন্তা করেই এই মারাত্মক কাণ্ড ঘটালেন অটল? যদিও তাঁর স্ত্রীর দাবি, ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে গভীর চক্রান্ত।

মৃত অটল সেনের স্ত্রী মৌসুমী সেনের দাবি, এসব বিশ্বাস করি না, চক্রান্ত রয়েছে, গতকাল বাড়ি থেকে বেরোয়, ১১ নাগাদ ফোন করি, সুইচ অফ ছিল।

শিয়ালদার নিজের ফোটকপির দোকান রয়েছে অটল সেনের। আর হরিনাভির বাসিন্দা আরতি গায়েন আয়ার কাজ করতেন। কিন্তু, তাঁর যে কোনও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে, সেনিয়ে কোনও আঁচই পাননি আত্মীয়রা।

নৈহাটির এই লজের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনায় তৃতীয় কারও হাত রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।