জয়দীপ হালদার, সুন্দরবন: দিনভর তল্লাশির পর, বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় উদ্ধার ৯ জন মৎস্যজীবীর দেহ। এখনও একজন নিখোঁজ। গতকাল মাঝরাতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলার উদ্ধার করে ফ্রেজারগঞ্জের বালিয়াড়ায় নিয়ে আসা হয়। রাতভর তল্লাশিতে ট্রলারের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় ৯ জন মৎস্যজীবীর দেহ। উদ্ধারকাজ পরিদর্শনে রাতে ফ্রেজারগঞ্জে যান সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা ও সুন্দরবনের পুলিশ সুপার। আজ দেহ সনাক্ত করার কথা রয়েছে। অন্যদিকে, নিখোঁজ মত্স্যজীবীর ফিরে আসা নিয়ে আশা-আশঙ্কার দোলাচলে তাঁর পরিবার।
মাছ ধরে ঘরে ফেরার কথা ছিল বুধবারই। বদলে, সাত সকালে খবর এল ট্রলার ডুবির। অপেক্ষা আর উত্কণ্ঠায় পরিবার। মত্স্যজীবীদের সংগঠন সূত্রে খবর, রবিবার এফবি হৈমবতী নামে একটি ট্রলারে করে ফ্রেজারগঞ্জ থেকে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন ১২ জন মত্স্যজীবী। গতকালই তাঁদের ফেরার কথা ছিল। কিন্তু বুধবার ভোরে বকখালির রক্তেশ্বরীর চরের কাছে যুবে যায় ট্রলারটি।
এরপরই তৎপর হয় প্রশাসন। মৎস্যজীবীদের খোঁজে রাতভত চলে তল্লাশি। তল্লাশি চালিয়ে ৯ মত্স্যজীবীর দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। কিন্তু এখনও খোঁজ নেই আরও একজনের। সুন্দরবন ফিসারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ট্রলার উল্টে যায় চরের কাছে। গতকাল দুজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে মোট ১১ জনের দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে।
আশঙ্কা আর উত্কণ্ঠায় নিখোঁজ মত্স্যজীবীদের পরিবার। ফ্রেজারগঞ্জ মত্স্য বন্দরে ভিড় জমিয়েছেন তাঁরা। নিখোঁজ মত্স্যজীবীর এক আত্মীয় কাবেরী মণ্ডল গতকাল বলেন, "আমরা বাড়িতে কাজ করছিলাম। ভাইয়ের আসার কথা ছিল। হঠাৎ ফোন ট্রলার উল্টে গেছে একবার বলছে এটাতে ছিল না, অন্য ট্রলারে। আমরা অপেক্ষা করছি।"
উল্লেখ্য়, নিখোঁজ মত্স্যজীবীদের খোঁজে জলপথ ও আকাশপথে নজরদারি চালায় উপকূল রক্ষী বাহিনী। ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল রক্ষী বাহিনী কম্যান্ডিং অফিসার অভিজিৎ দাশগুপ্ত, আমরা সকাল থেকেই তল্লাশি চালাচ্ছি। জলপথে আমাদের বোট রয়েছে। আকাশপথ দানিয়ার এয়ার ক্র্যাফটে নজরদারি চালাচ্ছি। নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।