সমীরণ পাল ও জয়ন্ত পাল, নিমতা: নিমতায় নেশামুক্তি কেন্দ্রে বিরাটির এক বাসিন্দাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। ঘটনায় গ্রেফতার ২, পলাতক নেশামুক্তি কেন্দ্রের মালিক।


নেশার কবল থেকে নিস্তার পেতে চেয়েছিলেন। জীবনের মূল স্রোতে ফিরতে উত্তর ২৪ পরগনার নিমতার নেশামুক্তি কেন্দ্রের ওপর ভরসা করেছিলেন। কিন্তু এমন মর্মান্তিক পরিণতি হবে, সে কথা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেনি কেউ। বৃহস্পতিবার বাড়িতে যাওয়ায় কথা ছিল, কিন্তু তার আগেই নেশামুক্তি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে উঠল পিটিয়ে খুনের অভিযোগ।


পরিবার সূত্রে খবর, বিরাটির কলাবাগানের বাসিন্দা বছরে ৪৯-এর পার্থ রাহা। ওই ব্যক্তি বেশ কয়েক মাস ধরে নিমতার সুদৃষ্টি রিহ্যাব সেন্টারে ছিলেন। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। পরিবারের সদস্যদের দাবি, বুধবার নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে ফোন করে বলা হয়,  অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ওই ব্যক্তি। নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে পার্থকে হাসপাতালে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। পরিবারের অভিযোগ, মারধরের জেরেই মৃত্যু হয়েছে।


মৃতের ভাই প্রণব রাহা বলেন, মারধর করত।  বাড়িতে ফোন করে জানায় এরপর বেধরক মারধর করে হাসাপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু। নিমতার পাইকপাড়ায় একটি বাড়ি ভাড়া করে নেশামুক্তি কেন্দ্র চলত। বাড়ির মালিক জানান, বাড়ি ভাড়া করে চালানো হতো কেন্দ্র। মারধর করেছে শুনেছি। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে নেশামুক্তি কেন্দ্রের এক কর্মী ও এক আবাসিককে গ্রেফতার করেছে নিমতা থানার পুলিশ। কেন্দ্রের মালিক পলাতক।


উল্লেখ্য, চুরির অভিযোগে আটক যুবকের পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু ঘিরে গত সপ্তাহে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে কুলটির বরাকর। ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়িতে। সাসপেন্ডেড আইসি ও পাঁচ সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে ছেলেকে পিটিয়ে খুনের লিখিত অভিযোগ জানায় মৃতের পরিবার। চুরির অভিযোগে গত সোমবার রাতে ২১ বছরের আরমান আনসারিকে বাড়ি থেকে তুলে আনে পুলিশ। তার পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে কুলটি থানায় গিয়ে যুবকের বাবা জানতে পারেন, তাঁর ছেলে মারা গেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, আটকের পর গভীর রাতে আরমান আনসারিকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।