মৃত ছাত্রীর মা বলছেন, ১৭ তারিখ কলেজে এসে বাইকে করে মৌ-কে নিয়ে গিয়েছিল। মৌ-এর বন্ধুদের থেকে এটা জেনেছি। সেখানে মৌ-কে নদীতে ফেলে দিয়েছে।
পরিবার সূত্রে খবর, ১৭ ফেব্রুয়ারি কলেজ যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিলেন নৈহাটি ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র কলেজের ছাত্রী মৌ সরকার। তাঁর সঙ্গে পলাশি মাঝিপাড়ার বাসিন্দা জ্যোতির্ময় চক্রবর্তীর সম্পর্ক ছিল। নিখোঁজ হওয়ার পর ওই জ্যোতির্ময়ের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণের মামলা দায়ের করেন মৌ-র আত্মীয়রা। এর পরই জ্যোতির্ময়কে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। জেরায় বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় ১৯ ফেব্রুয়ারি তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন সকালে নবাবগঞ্জ ঘাটে ওই ছাত্রীর দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ গিয়ে তা উদ্ধার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত জ্যোতির্ময় চক্রবর্তী কল্যাণীর একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ছাত্র। জেরায় সে পুলিশকে জানিয়েছে, ১৭ তারিখ বাইকে করে মৌ সরকারকে নিয়ে ঈশ্বর গুপ্ত সেতুতে গিয়েছিল। সেখানেই আচমকা নদীতে ঝাঁপ দেয় ওই ছাত্রী।