কলকাতা: ভাটপাড়ায় ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনার তদন্ত করবে এনআইএ।  ৮ সেপ্টেম্বর বিজেপি সাংসদের বাড়ি লক্ষ্য করে পরপর বোমা ছোঁড়া হয়। এই ঘটনায় এনআইএকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এমনই খবর সূত্রের। এই ঘটনায় খুনের চেষ্টা, সংগঠিত অপরাধ, বিস্ফোরক আইনে মামলা। ৮ সেপ্টেম্বর সকালে অর্জুনের বাড়ির দরজায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। একটি বোমা ফাটে সিআইএসএফের জওয়ানদের পাহারাস্থলে।


  ওই দিন সাতসকালে অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে বোমাবাজির ওই ঘটনা ঘটে। সকাল ৬টা নাগাদ জগদ্দলে বিজেপি সাংসদের বাড়ি লক্ষ্য করে পরপর ৩টি বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। একটি বোমা সাংসদের বাড়ির দরজা ও অপর বোমাটি উল্টোদিকে সিআইএসএফ জওয়ানদের পাহারাস্থলের কাছে ফাটে। ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না ব্যারাকপুরের সাংসদ। তাঁর দাবি, ভবানীপুরে ভোটের দায়িত্ব পেতেই ভয় দেখাতে হামলা চালানো হয়েছে। বোমাবাজির নেপথ্যে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে দাবি করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তৃণমূলের কটাক্ষ, খবরে ভেসে থাকতে চান অর্জুন সিং।কাদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, তা এতেই স্পষ্ট। অন্যদিকে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্রে পুলিশের দাবি, দুষ্কৃতীদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের জেরে এক পক্ষ অপর পক্ষের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় আক্রান্তরা বোমা ছোড়ে। ঘটনায় ২ জনকে আটক করা হয়।


বিজেপি সাংসদের বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনায় রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি ট্যুইট করে বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গে হিংসা থামার কোনও লক্ষণ নেই। সকালে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়ির বাইরে বোমা বিস্ফোরণ। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। রাজ্য পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিক। আগে থেকেই প্রশ্ন ছিল, সাংসদের নিরাপত্তা নিয়ে।


অমিত শাহের অধীনস্থ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অন্তর্গত এনআইএ।এই মন্ত্রকের ডেপুটি কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। বর্তমানে এনআইএ-র ডিজি কুলদীপ সিং।সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আন্ডার সেক্রেটারি ক্ষীতীশ কুমার একটি নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছেন, বিজেপি বিধায়ক পবন সিং এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার উদ্দেশে, তাঁর বাড়ির সামনে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। জগদ্দল থানার পুলিশ এই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭, ৩৪ এবং বিস্ফোরক আইনের ৩ ও ৪ নম্বর ধারায় মামলা করেছে।


এরপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আন্ডার সেক্রেটারি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার মনে করছে, ২০০৮ সালের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা আইন অনুযায়ী, পরিকল্পনা করে এই অপরাধ সংগঠিত করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। তাই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা আইন অনুযায়ী জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এই ঘটনার তদন্তভার নিতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।