কলকাতা: তৃণমূলে যাওয়া ২ বিধায়ককে নিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরের দাবি জানিয়ে অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু। বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে শুভেন্দুর এই চিঠিতে। অগাস্টের শেষে তৃণমূলে যোগ দেন ২ বিজেপি বিধায়ক।
উল্লেখ্য, বিষ্ণুপুরের বিজেপি (BJP) বিধায়ক তন্ময় ঘোষের (Tanmoy Ghosh) পর পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে ফিরেছেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস (Biswajit Das)। এরপর দলত্যাগী দুই বিধায়ককে চিঠি দিয়ে তাঁদের অবস্থান জানাতে বলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। চিঠিতে তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে তৃণমূলে যোগদান নিয়ে ওই বিধায়কদের অবস্থান স্পষ্ট করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। জবাব না পেলে তাঁরা তৃণমূলে চলে গেছেন বলে ধরে নেওয়া হবে বলে চিঠিতে জানিয়েছিলেনন শুভেন্দু অধিকারী ।
উল্লেখ্য, এর আগে কৃষ্ণনগরের বিধায়ক মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছিলেন শুভেন্দু। তাঁর এই আর্জির ভিত্তিতে এ ব্যাপারে শুনানি চলছে।
এরইমধ্যে চেয়ারম্যান হয়েও বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির বৈঠকে গরহাজির ছিলেন মুকুল। এরপর তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে বিধানসভার শুনানিতেও হাজির হননি মুকুল রায়। অসুস্থতার কারণে এক মাস সময় চেয়ে, অধ্যক্ষকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি। কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জিতেছেন মুকুল রায়।বিজেপি দাবি তুলেছে, তৃণমূলের সমর্থনে যে মুকুল রায় বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন, দলত্যাগ বিরোধী আইন অনুযায়ী তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করা হোক। এই দাবির প্রেক্ষিতেই শুনানি চলছে বিধানসভায়।
গত অগাস্টের শুনানিতে ডাকা হয়েছিল মুকুল রায়কে। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাজির হননি তিনি। তা নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। পাল্টা খোঁচা দিতে শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারীর প্রসঙ্গ টেনে এনেছে তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করেছিলেন, কথায় বলে চ্যারিটি বিগিনস এট হোম। ওনার বাবাও তো সময় চেয়েছেন। উনি আগে পরিষ্কার করুন কোন দলে আছেন।
মুকুল রায়ের আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। পরবর্তী শুনানি হবে ১৫ সেপ্টেম্বর।