কলকাতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আলিগড়ের বিজেপির যুব মোর্চা নেতার খুনের হুমকিকে ঘিরে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে তোলপাড় হলেও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ খোদ মুখ্যমন্ত্রী।


হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে মিছিলের উপর এরাজ্যের পুলিশ লাঠিচার্জ করছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপির যুব মোর্চা নেতা যোগেশ ভার্শনে। উত্তরপ্রদেশের আলিগড় থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘শয়তান’ উল্লেখ করে খুনের ফতোয়া জারি করেন যোগেশ। এমনকী, মুখ্যমন্ত্রীর মাথার দাম ১১ লক্ষ টাকা ধার্য করেন তিনি।


এই নিয়ে বুধবার সরগরম ছিল কেন্দ্রীয় রাজনীতি। মন্তব্যের ঝড় আছড়ে পড়ে সংসদেও। দলমতনির্বিশেষে সকলেই এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে। কেন্দ্রও জানিয়ে দেয়, চাইলে রাজ্য ওই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।


এসবের মধ্যেও বিষয়টিকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী নিজে। হুমকি-প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি। তাঁর গলায় ছিল শুধু শ্লেষের সুর।


এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওদের কথার কোনও গুরুত্ব নেই। পাগলে কী না বলে। যত ইচ্ছে গালাগালি করুন, কুৎসা করুনষ ষড়যন্ত্র করুন। ঈশ্বর ক্ষমা করুন। গুরুত্ব দিই না। ওতে আমার গায়ে ফোস্কা পড়ে না।


মুর্শিদাবাদের ডোমকলে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি আরও জানান, তাঁকে প্রতিনিয়ত এসব সহ্য করতে হয়। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে প্রায়ই আক্রমণাত্মক শব্দ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ওরা যত এধরনের কথা বলবে, তত আমরা উন্নতি করব।


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি মন্তব্য না করলেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়রা স্বাভাবিকভাবেই আক্রমণাত্মক। তৃণমূল মহাসচিব সাফ জানিয়ে দেন, নেত্রীকে আঘাত করলে কর্মীরা বসে থাকবে না।