দার্জিলিং: পাহাড়ে আন্দোলনের ধার বাড়াচ্ছে মোর্চা। চকবাজারে পিঠে টিউবলাইট ভেঙে, জিটিএ চুক্তির কপি পুড়িয়ে বিক্ষোভ যুব মোর্চা সমর্থকদের। অশান্তির আগুন ছড়িয়েছে তাকদা পর্যন্ত। পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলনকে মঙ্গলবার এভাবেই ফের চরমে নিয়ে গেল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। যা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দার্জিলিং।
মোর্চার তরফে আগেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, মঙ্গলবার থেকে তারা আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাবে। এদিন সকাল দশটা নাগাদ দার্জিলিং স্টেশন থেকে চকবাজারের দিকে এগোতে শুরু করে যুব মোর্চার মিছিল। সেখানে পৌঁছেই পিঠে পিঠে একের পর এক টিউবলাইট ভাঙতে শুরু করেন মোর্চা সমর্থকরা।
জিটিএ চুক্তির কপি একত্রিত করে ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। তারপর আগুন ঘিরে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে চলে স্লোগান। ততক্ষণে বিভিন্ন দিক থেকে মিছিল করে চকবাজারে জমা হয়েছেন প্রায় পনেরো হাজার মোর্চা সমর্থক। ঘণ্টা দেড়েক ধরে এখানে চলে বিক্ষোভ, স্লোগান।



যদিও, সরকার এই আন্দোলনে গুরুত্ব দিতে নারাজ। রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, অনেকে আহত হয়েছে। গণতান্ত্রিক দেশে এটা আন্দোলনের ভাষা নয়। শান্তিপূর্ণ পথে করা উচিত। হঠকারী আন্দোলন। প্ররোচিত করছে।
এতদিনের মধ্যে এই প্রথম মোর্চার প্রথম সারির নেতারা রাস্তায় নেমে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়। চকবাজারের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সহকারী সাধারণ সম্পাদক বিনয় তামাং, যুব মোর্চার সভাপতি প্রকাশ গুরুং, টাউন যুব মোর্চার সভাপতি তিলক ছেত্রীরা। সরকার পাল্টা মোর্চা নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই প্ররোচনার অভিযোগ তুলেছে।
একদিকে যখন বিক্ষোভের পারদ চড়ছে, তখন পাহাড়ের বিভিন্ন অংশে জ্বলেছে অশান্তির আগুন। তাকদার বিডিও অফিসে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে মোর্চা সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বিডিও অফিস চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা দু’টি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। সব মিলিয়ে মোর্চার বিক্ষোভের আগুনে পাহাড় আবার তপ্ত।