কলকাতা: অধস্তন কর্নেলের স্ত্রীয়ের সঙ্গে প্রেমের খেসারত দিতে হল সেনার ব্রিগেডিয়ারকে। তাঁর ১০ বছর সিনিয়রিটি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিল সেনার জেনারেল কোর্ট মার্শাল।


এর ফলে, ওই ব্রিগেডিয়ার পদমর্যাদার অফিসার কর্মরত থাকলেও মেজর জেনারেল র‌্যাঙ্কে পদোন্নতি পাবেন না। অভিযুক্ত ব্রিগেডিয়ারের নাম প্রকাশ না করা হলেও, এটা জানা গিয়েছে, তিনি কর্মরত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের সুকনায়, চিন-সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বাহিনীর ৩৩ কোরে।


এক সেনা অফিসার জানান, সহ-অফিসারের স্ত্রীর আবেগকে হাতিয়ার করে তাঁর সঙ্গে যৌন-সম্পর্ক স্থাপন করা অত্যন্ত ঘৃণ্য কর্ম। সেনার কাছে এটি ভীষণই গর্হিত অপরাধ। বাহিনী এধরনের অপকর্ম একেবারেই বরদাস্ত করে না।


তিনি যোগ করেন, সাধারণত, যে অফিসাররা এধরনের কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হন, তাঁদের অবিলম্বে বরখাস্ত করা হয়। কখনও পেনসন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধেও দেওয়া হয় না। কিন্তু, ব্রিগেডিয়ার নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন বলে তাঁর ক্ষেত্রে কিছুটা নমনীয় মনোভাব দেখিয়েছে সেনা।


জানা গিয়েছে, ব্রিগেডিয়ারের বিরুদ্ধে ব্যভিচার, সরকারি নথি জাল করা এবং সেনা শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা লঙ্ঘন করা সহ মোট ১৩টি অভিযোগ আনা হয়। কোর্ট মার্শাল বসে বিনাগুড়িতে। বিচারকমণ্ডলীর নেতৃত্বে ছিলেন মেজর জেনারেল পদমর্যাদার অফিসার। ছিলেন আরও ৬ ব্রিগেডিয়ার পদমর্যাদার অফিসারও। এর আগে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোর্ট অফ এনক্যোয়ারিও হয়।


প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে এধরনের অভিযোগ একাধিকবার উঠেছে সামরিক বাহিনীতে। ঊর্ধ্বতন অফিসারের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রাখার জন্য এক ফাইটার পাইলটকে বরখাস্ত করে বায়ুসেনা। একইভাবে, দুই কম্যান্ডার পদমর্যাদার অফিসারকে বরখাস্ত করে নৌসেনা।