কালিম্পং: মৃতের নিকটাত্মীয় হিসেবে কে চাকরি করবেন? বউদি না দেওর? এই বিবাদের জেরেই কালিম্পংয়ে ঘটে গেল নৃশংস হত্যাকাণ্ড। প্রাণ গেল দুই শিশু-সহ তিনজনের।
গৌরীবাসে দুই ছেলে অতীত ও অক্রিতকে নিয়ে থাকতেন বছর তিরিশের জুলিখা ভুজেল। অতীতের বয়স ৬ বছর। অক্রিতের ৮। কয়েক বছর আগে শিশুদের বাবা মারা যান। তিনি সিঙ্কোনা বাগানে চাকরি করতেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এরপর থেকে পরিবারের নানা বিষয় নিয়ে দেওর সূর্য ভুজেলের সঙ্গে বউদির অশান্তি হত। বিবাদের অন্যতম বিষয় ছিল চাকরি! দুই সন্তানকে মানুষ করতে হবে, এই যুক্তি দেখিয়ে মৃতের স্ত্রী চাইতেন, স্বামীর চাকরি তিনিই করবেন। কিন্তু এতে রাজি হননি দেওর! দাদার চাকরির দাবিদার ছিলেন মৃতের ভাইও!
এই বিবাদেরই চরম পরিণতি ঘটে শনিবার মাঝরাতে! দুই ছেলেকে পাশে নিয়ে তখন ঘুমোচ্ছিলেন জুলিখা! অভিযোগ, সেই সময় চুপিসাড়ে ঘরে ঢোকেন তাঁর দেওর! বউদি এবং ভাইপোরা যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন কুকরি নিয়ে তাঁদের ওপর চড়াও হন ওই যুবক! চলে এলোপাথারি কোপ!
রক্তাক্ত অবস্থায় মা ও দুই ছেলে ঘর থেকে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু লাভ হয়নি! বারান্দাতেও তিন জনকে কোপানো হয়! আর্তনাদ শুনে ছুটে যান প্রতিবেশীরা! গিয়ে তাঁরা দেখেন, বাড়ি জুড়ে ছড়িয়ে দেহাংশ! রক্তে ভেসে যাচ্ছে বিছানা, মেঝে! বারান্দাতেও চাপ চাপ রক্ত! উদ্ধার হয় তিনটি ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ!
বাড়ি থেকেই অভিযুক্ত সূর্য ভুজেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, ধৃতের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে।