নদিয়া: মেলা দেখে দাদার সঙ্গে স্কুটিতে করে বাড়ি ফিরছিলেন দুই বোন। শুনশান রাস্তায় পিছু নেয় দুষ্কৃতীরা। শুরু হয় কটুক্তি। বোনেদের বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন দাদা। আর তার মূল্য তাঁকে চোকাতে হল নিজের প্রাণ দিয়ে। নদিয়ার কালীগঞ্জের এই ঘটনা ফের ফিরিয়ে আনল ৬ বছর আগে বারাসতের রাজীব দাসের মৃত্যুর স্মৃতি।

রাত ১০টা নাগাদ কালীগঞ্জের দেবগ্রামে মেলা থেকে দুই বোনকে স্কুটিতে বসিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন দাদা। স্থানীয় চৌরাস্তায় তাঁদের পিছু নেয় একটি বাইক। বাইকে ছিল ৩ যুবক। স্কুটিতে তিন ভাইবোনের উদ্দেশে শুরু হয় একের পর এক কটুক্তি। তাদের হাত ছাড়াতে দাদা স্পিড বাড়িয়ে দেন। গতি বাড়ায় ওই তিনজনও। স্কুটির গতি কমানো হলে দাঁড়িয়ে পড়ে বাইকটি। তারপর আচমকা স্কুটিতে ধাক্কা মেরে চম্পট দেয়।

চলন্ত স্কুটি থেকে ছিটকে পড়ে মৃত্যু হয় দাদার। জখম দুই বোনের চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয় মানুষ। ৩ জনকে উদ্ধার করে দেবগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। যুবকটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। আহত মেয়েদুটিকে ভর্তি করা হয় কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে।

হাসপাতালে শুয়ে দুই বোন এখন দোষীদের চরম শাস্তি চাইছেন।