শ্রীনু খুনের অপারেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয় শঙ্কর রাও-কে, কাকে কোথায় রাখা হবে, তা শঙ্করের মস্তিষ্কপ্রসূত, জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের এসপি ভারতী ঘোষ।
প্রসঙ্গত, আততায়ীদের টার্গেট ছিলেন খড়গপুরের ডন শ্রীনু নায়ডু। আর খুনের দিন শ্রীনুর অনুগামীদের মধ্যে যেহেতু দক্ষিণ ভারতীয়র সংখ্যা বেশি, তাই পোঙ্গল উত্সবে মেতেছিলেন তাঁরা। বছর দশেক পরে দক্ষিণী তারকা চিরঞ্জীবীর দেড়শতম ছবি দেখতে শ্রীনুর সঙ্গীরা ছিলেন সিনেমা হলে। ঢিলেঢালা নিরাপত্তার সুযোগ নিয়েই এই হত্যার ঘটনাটি ঘটানো হয় বলে অনুমান।
পুলিশ সূত্রে দাবি, শ্রীনুর খড়গপুরে ফেরার খবর ছিল দুষ্কৃতীদের কাছে। শ্রীনুর গতিবিধির উপর নজর রাখছিল দুষ্কৃতীরা। অবশেষে শ্রীনু পার্টি অফিসে এসে বসলে ঘিরে ধরে হামলা চালানো হয়। গ্যাংয়ের ভিতর থেকেই কেউ খবর দেয় বলে অনুমান পুলিশের। পাশাপাশি, শ্রীনুর স্ত্রী, তৃণমূল কাউন্সিলর পূজা নায়ডুর কাছে আসা কোনও ব্যক্তিও খবর দিতে পারে বলে সন্দেহ পুলিশের।
তবে কেন নিজের খাসতালুকেই খুন হতে হল খড়গপুরের ডন শ্রীনু নায়ডুকে? ব্যবসায়িক শত্রুতা ছাড়াও খুনের পিছনে প্রতিহিংসাও থাকতে পারে বলে অনুমান। ঘটনার তদন্তে নেমে বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে পুলিশের। সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সম্প্রতি এক ঘনিষ্ঠ সহযোগীর সঙ্গে টাকাপয়সা নিয়ে শ্রীনুর ঝামেলা হয়। তার জেরে ওই সঙ্গী শ্রীনুকে ছেড়ে আলাদা দল তৈরি করে। বন্ধুত্ব পরিণত হয় চরম শত্রুতায়। ঘটনায় শ্রীনুর ওই প্রাক্তন সহযোগীর কোনও যোগ রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।