কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান : হাতে বাকি মাত্র আর কয়েকটা দিন। তারপরই আসতে চলেছে বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো। যদিও কোভিড পরিস্থিতি এবং লকডাউনের কারণে গতবছর কিছুটা ফিকে হয়েছিল উৎসবের রঙ। এবারেও যাতে রঙয়ের ছটা না কমে তাই বিভিন্ন জায়গায় নেওয়া হয়েছে বাড়তি উদ্যোগ। এবার বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব কে সামনে রেখে করোনা ভ্যাকসিনেশন শুরু করল ফোরাম ফর দুর্গোৎসব ও বর্ধমান দুর্গাপুজো সমন্বয় সমিতি। বিভিন্ন পুজো কমিটির সদস্য, ঢাকি, পুরোহিত, ডেকরেটর, লাইট ও মাইক বাজানোর সাথে যুক্ত সকলকে টিকাকরণের কাজ শুরু হল।


হাতেগোনা আর কয়েকটা দিন বাকি দুর্গোৎসবের। তাই দুর্গাপুজোর সাথে সরাসরি যুক্ত সবার টিকাকরণ নিশ্চিত করে করোনাসুরকে দূরে রেখে মহিষাসুরমর্দিনীর বন্দনায় ঝাঁপাতে চাইছেন সকলে। বর্ধমানের কল্পতরু মাঠের চিলড্রেনস ক্লাবে আয়োজিত এই ক্যাম্পে প্রায় ৪০০ জনকে কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়ে গিয়েছে। পুজোর আগেই দ্বিতীয় ডোজ ও দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান উদ্যোক্তারা। বর্ধমান দুর্গাপুজো সমন্বয় সমিতির সম্পাদক রাজেশ কুমার সাউ এই প্রসঙ্গে জানান, দুর্গাপুজোকে সামনে রেখে আমরা চাইছি দুর্গাপুজোর সাথে সরাসরিভাবে যুক্ত বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভ্যাকসিন দিয়ে করোনার চেনকে ভাঙতে। যাতে উৎসবে সামিল হতে গিয়ে আনন্দের সময়ে কারও মধ্যে করোনার সংক্রমণ না ছড়িয়ে পড়ে।


উৎসবে প্রাণখোলা আনন্দে তখনই মেতে ওঠা যাবে যখন নিজেকে এবং নিজের আশেপাশের মানুষদের সুরক্ষিত রাখা। কোভিডকে লড়াইতে হারাতে পারলেই উৎসব আবার আগের মতো জাঁকজমক করা সম্ভব। আর সেই লড়াইতেই নেমেছেন গোটা পৃথিবীর এবং অবশ্যই চিকিৎসকরা। তাঁরা দিন-রাত এক করে দিয়ে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সুস্থতার কাজে লেগে রয়েছেন। দুর্গা পুজো কমিটিগুলোও দুর্গোৎসব পালন করার পাশাপাশি নতুন কিছু পদক্ষেপ নিতে শুরু করল। পুজোর সময় মন্ডপে মন্ডপে হাজার হাজার দর্শনার্থী ঠাকুর দেখতে বের হোন। তাই পুজোর আগে যতদূর সম্ভব পুজোর সাথে যারা সরাসরি যুক্ত তাদের এবং তাদের পরিবারের সদস্য দের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ করা। ফলে পুজোর সময় করোনার বিরুদ্ধে লড়াই আরও সহজ হবে। সকলে সামিল হতে পারবেন পুজোর আনন্দে।