হাওড়া: একটি দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে ৭জনকে। একই পরিবারের ৭ সদস্যকে। থমথমে হাওড়া স্টেশনের আরপিএফ অফিস। শোকের ছায়া হাওড়ার গোলমোহর রেলওয়ে কোয়ার্টারে।
হাওড়া স্টেশনের ২২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের এক কোণে আরপিএফের অফিসটা সকাল থেকে বড্ড ফাঁকা... থমথমে... । ঝুলে আছে চেনা ইউনিফর্ম.... ফাঁকা পড়ে আছে চেয়ার।
দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ওপর সকালের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা মুহূর্তে ওলটপালট করে দিয়েছে সব....। সহকর্মীরা বিশ্বাসই করতে পারছেন না, এই চেয়ারে এসে আর কোনওদিন বসবেন না তাঁদের প্রিয় রাজের কুমার।
হাওড়ার আগে রাজেনের পোস্টিং ছিল শিয়ালদায়। দুর্ঘটনায় খবর পেয়ে শোকের ছায়া কাইজার স্ট্রিটের পুরনো পাড়াতেও। বছর দুই আগে শিয়ালদা থেকে হাওড়া বদলি হন বছর ৩৮-এর রাজেন। স্ত্রী রেশমি, ১১ বছরের মেয়ে রিয়া, ৮ বছরের ছেলে আরব এবং ৬ বছরের মেয়ে অনন্যাকে নিয়ে থাকতেন হাওড়া গোলমোহর রেলওয়ে কোয়ার্টারে।


পড়ুন: গাড়ির ওপর উল্টে পড়ল আলকাতরা ভর্তি ট্যাঙ্কার, ২ শিশুসহ ৭ জনের মৃত্যু


রাজেনের বাবা এস এন সিংহ, আরপিএফের সিনিয়র ডেপুটি সিকিউরিটি কমিশনার। কর্মরত ছিলেন বিহারের হাজিপুরে। মাস ৬ আগে তিনি একটি গাড়ি কেনেন। স্ত্রীকে নিয়ে আসেন ছেলের কাছে। সেই গাড়িতে করেই বুধবার সকাল ৬টা নাগাদ ৭জন রওনা হন বিহারের ভোজপুরের বাড়ির উদ্দেশে।
কিন্তু গন্তব্যে পৌছনো হয়নি কারও। ২ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে সবাইকে। শেষ হয়ে গিয়েছে গোটা পরিবার। পুলিশ জানতে পেরেছে, গাড়ি চালাচ্ছিলেন রাজেনের বাবা।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি থেকে পাওয়া আরপিএফের একটি কার্ড থেকে নম্বর নিয়ে পুলিশ সকাল সাড়ে দশটা নাগদ যোগাযোগ করে হাওড়া স্টেশনের আরপিএফ-এর অফিসে। সেই থেকেই থমথমে গোটা অফিস.... শোকের ছায়া হাওড়ার গোলমোহর রেলওয়ে কোয়ার্টারে।