সোনারপুর: প্রথমে পায়ে গুলি। লুটিয়ে পড়তেই কোপের পর কোপ। আজ সাতসকালে সোনারপুরে চাঞ্চল্য। খুন জমি ব্যবসায়ী। মৃতের নাম, নারায়ণ বিশ্বাস। বয়স ৩৮। বাড়ি সোনারপুরের রাইপুরে।


স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ সকালে এক সঙ্গীকে নিয়ে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে নিজের পুকুরে যান নারায়ণ। মাছের খাবার দেওয়ার সময় তাঁর উপর দুষ্কৃতী হামলা হয়। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, ৪ জন দুষ্কৃতী নারায়ণকে ঘিরে ধরে গুলি চালাতে থাকে। তাদের মধ্যে তিন দুষ্কৃতীর মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। পায়ে গুলি লেগে ওই ব্যবসায়ী লুটিয়ে পড়লে চপার দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।

পরিবারের দাবি, এর আগেও নারায়ণকে খুনের চেষ্টা হয়। স্ত্রী শেফালি বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘আমার স্বামী প্রভাস মণ্ডলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করতেন। কয়েক বছর আগে প্রভাস আমার স্বামীকে না জানিয়ে জমি বিক্রি করেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। পাওনা টাকা নিয়েও বিবাদ বাঁধে। গত বছর আমার স্বামীকে খুনের চেষ্টা করা হয়।’

শেফালি আরও জানিয়েছেন, ‘আমার স্বামী আগে সক্রিয় তৃণমূল কর্মী ছিলেন। জমি সংক্রান্ত বিবাদের কারণে শেল্টার পাওয়ার জন্য পাঁচ মাস আগে বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁকে পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে।’

যদিও, তৃণমূলের দাবি, নিহত ব্যক্তি কোনওদিনই তাঁদের কর্মী ছিলেন না। কালীকাপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তপন বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘নিহত ব্যক্তি কোনওদিনও আমাদের কর্মী ছিলেন না। তিনি আমাদের মিটিং-মিছিলেও আসেননি।’ এ বিষয়ে এখনও বিজেপি-র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

সোনারপুর থানা সূত্রে খবর, নিহত ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজকর্মের অভিযোগ ছিল। কয়েক মাস আগে গ্রেফতারও করা হয় তাঁকে। জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে খুন বলে অনুমান। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ এবং সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত প্রভাসকে গ্রেফতার করেছে। বাকি তিন অভিযুক্তর খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।