চঞ্চল মজুমদার ও রাজীব চৌধুরী

গঙ্গারামপুর ও জলঙ্গি: মহিলা বিজেপি কর্মীকে হেনস্থা ও সিএএ-বিরোধী আন্দোলনে গুলি করে খুন-গঙ্গারামপুর ও জলঙ্গির দু’টি ঘটনাতেই অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রথমটিতে মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হলেও, অপরটিতে এখনও অধরা।

২ ফেব্রুয়ারি গঙ্গারামপুরে প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা প্রকল্পে রাস্তা তৈরিকে কেন্দ্র করে পেশায় শিক্ষক এক মহিলাকে হেনস্থা ও মারধর করা হয়। অভিযোগ ওঠে তৃণমূল পরিচালিত নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অমল সরকার ওরফে ঝন্টু ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। মোট পাঁচজনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। আগেই দু’জন গ্রেফতার হলেও এতদিন অধরা ছিলেন তৃণমূলের উপ প্রধান। ৪ ফেব্রুয়ারি এই ঘটনায় রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগও জানায় বিজেপি। এরপর আজ সকালে বাড়ির সামনে থেকে অমল ওরফে ঝন্টুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও এই ভিডিও সামনে আসার পরেই তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করেছিল শাসকদল।

নির্যাতিতা জানিয়েছেন, ‘পুলিশের ওপর আস্থা ছিল। ৫ জনের অভিযোগ ছিল। আগে ২ জন গ্রেফতার হয়েছে। আজ মুল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।’

অন্যদিকে, জলঙ্গিতে সিএএ বিরোধী মিছিলে গুলিতে জোড়া মৃত্যুর পর আট দিন কেটে গেলেও এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত তথা জলঙ্গি উত্তর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি তহিরুদ্দিন মণ্ডল। তবে আজ এই ঘটনায় হায়দার শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এফআইআর-এর ১২ জনের নাম থাকলেও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯ অভিযুক্তই ফেরার!