তমলুক: দু’একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া দক্ষিণ কাঁথিতে ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্নেই। যদিও অব্যাহত রইল রাজনৈতিক-তরজা।
দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সরব বিরোধীরা। বিজেপির দাবি, রবিবার শাবাজপুট এলাকায় তাদের ৩ দলীয় কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল। বিজেপি প্রার্থী সৌরিন্দ্রমোহন জানা বলেন, শাসক দল সন্ত্রাস চালিয়েছে।
এই ইস্যুতে বাম প্রার্থীর গলাতেও বিজেপির সুর! সিপিআই প্রার্থী উত্তম প্রধান বলেন, কয়েকটি বুথে পোলিং এজেন্ট বসতে দেয়নি। সুষ্ঠু ভোট আটকাতে সন্ত্রাসের আবহ।
সন্ত্রাসের অভিযোগ অস্বীকার করে, পাল্টা বিজেপিকে নিশানা করেছে তৃণমূল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছে তারা। তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর দাবি, বিজেপির নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়াবাড়ি করেছে। আমাদের লোকদের ভোট দিতে বাধা। একই পরিবারের সদস্যদের বাধা দিয়েছে। কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছি।
২০১৬ সালে দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা আসনে, প্রায় ৩৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে জেতেন তৃণমূলের দিব্যেন্দু অধিকারী। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে দিব্যেন্দু সাংসদ হওয়ার পর ফাঁকা হয়েছিল বিধানসভা আসনটি। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে এদিন হয় ভোটগ্রহণ। এবার এখানে চতুর্মুখী লড়াই। তৃণমূল প্রার্থী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, কে জিতবে কাঁথির মানুষ ঠিক করবে।


এই কেন্দ্রের অধীনে রয়েছে ৮টি পঞ্চায়েত ও কাঁথি পুরসভা এলাকা। ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৭ হাজার ৩৩৭। ২৫৮টি বুথকে বাইশটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা আড়াই লক্ষের বেশি। ভোটকর্মী ১ হাজার ৩২। বুথের সংখ্যা ২৫৮। নির্বাচনি কমিশন জানিয়েছে, এদিন বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭৯.৭ শতাংশ। উপনির্বাচনে কে বাজিমাত করল, তা জানা যাবে ১৩ এপ্রিল।