সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: রাজ্যের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষিকার বদলির নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বদলি করা যাবে না মামলাকারী শিক্ষিকাকে। ১৯ অগাস্ট শিক্ষিকাকে বদলির নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য। হুগলি থেকে মালদায় বদলি করা হয়েছিল মামলাকারী শিক্ষিকাকে। সেই নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যর। বদলির ন্যায়সঙ্গত যুক্তি নেই, মত আদালতের।
গত ২৪ অগাস্ট, বদলি, বেতন বৈষম্য-সহ একাধিক অভিযোগে বিকাশভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর সময় আত্মহত্যার চেষ্টা করেন পাঁচজন শিক্ষিকা। তাঁদের মধ্যেই রয়েছেন হুগলির বলাগড়ের এক শিক্ষিকা। তাঁকে বলাগড় থেকে বদলি করা হয়েছে মালদার রতুয়ায়। যার প্রতিবাদে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের ওই শিক্ষিকা। সেই মামলার শুনানির পর মঙ্গলবার বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য বলেন, এমন বদলির কোনও নিয়ম নেই। চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের বদলির কোনও নির্দিষ্ট নীতি নেই। তাহলে কীসের ভিত্তিতে বদলি করল রাজ্য সরকার? কোন ক্ষমতাবলে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত? বুধবারের মধ্যে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে সরকারকে।
আরও পড়ুন: Malda: সাইবার হানার পর, এবার অ্যাডমিট কার্ড বিভ্রাট গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে
আজ, বুধবার শুনানিতে হাইকোর্ট প্রথমে জানতে চায় কোন নীতির ভিত্তিতে বদলি করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জবাব তলবের পর আদালতের তরফে আধ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয় রাজ্যকে। এরপরই বদলির নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট।
অন্যদিকে, ৫ শিক্ষিকার বিষ খাওয়ার ঘটনায়, ১০ সেপ্টেম্বর, শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের সম্পাদক মইদুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেফতার করতে গেলে তুলকালাম বাধে। সেই ঘটনা এবং চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের বদলির প্রতিবাদে এদিন কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন সংগঠনের সদস্যরা। আন্দোলনকারী শিক্ষিকা প্রশ্ন তোলেন, “আমাদের বদলি করে দেওয়া হয়েছিল কেন?’’ তিনি বলেন, “আন্দোলন করেছিলাম নবান্নে, তারপর শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাই, তারপর বদলি করে দেওয়া হল। এতদুরে বদলি, সেটা বেআইনি।’’