সৌভিক মজুমদার, অরিত্রিক ভট্টাচার্য ও ঋত্বিক মণ্ডল, কলকাতা:  চার্জশিট-তথ্যে কলকাতা হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে সিআইডি। রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া তথ্য ভুল বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। এই বিষয়ে নিযুক্ত করা হয়েছে আদালত বান্ধব। পরবর্তী শুনানি ১০ অগাস্ট।


তথ্য বিড়ম্বনায় সিআইডি।চার্জশিট নিয়ে ভুল পরিসংখ্যান পেশ।হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা।আদালত সূত্রে খবর, ফৌজদারি মামলার বিচারে কেন দেরি হচ্ছে, সে বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিতভাবে একটি মামলা গ্রহণ করে। বেশ কিছুদিন আগে সেই মামলায় রিপোর্ট দেয় সিআইডি। সেই রিপোর্টে জানানো হয়, ৯৯৯টি মামলায় সময়মতো চার্জশিট পেশ করা যায়নি। 


অনেক মামলায় চার্জশিট পেশ হয়নি ১২ বছরেও।কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি? তার কারণ হিসেবে সিআইডি আদালতে জানায়,অনেক সময় ফরেন্সিক রিপোর্ট আসতে দেরি হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে আবার দেরি হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের মতামত আসতে। কোথাও আবার নথি উদ্ধারে সময় লাগছে তো, কখনও বেশ কিছু দফতরের অনুমতি পেতে সময় লেগে যাচ্ছে।


কিন্তু সিআইডির এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য না হওয়ায়, চলতি বছরের ৯ জুন হাইকোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেলকে একটি নির্দেশ দেয়।তাতে বলা হয়, কতগুলি মামলার চার্জশিট সঠিক সময়ে পেশ পেশ করা যায়নি, সমস্ত আদালত থেকে পরিসংখ্যান সংগ্রহ করতে হবে।হাইকোর্ট সূত্রে খবর, তথ্য জোগাড়ের পর দেখা যায়, মোট ২৭ হাজার ২৬৭টি মামলায় সঠিক সময়ে চার্জশিট জমা পড়েনি। এরপরই সিআইডি-র ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয় কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ। 


হাইকোর্ট জানায়, সিআইডি-র দেওয়া তথ্য ভুল। এবং আদালতকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। সিআইডি-র দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। এরপরই এক আইনজীবীকে আদালত বান্ধব হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। যিনি গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে আদালতে মতামত জানাবেন। 


আর এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেছেন, সিআইডির ওপর কারও ভরসা নেই, অকেজো হয়ে গেছে।অন্যদিকে, তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বলেছেন, এজি এর আইনগত জবাব দেবেন।মামলায় পরবর্তী শুনানি হবে ১০ অগাস্ট।