ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: করোনা সংক্রমণের ধাক্কা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সূত্রের খবর, গত ৫ দিনে মেডিক্যাল কলেজে শতাধিক চিকিত্সক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশের চিকিত্সা চলছে মেডিক্যাল কলেজেই। বাকিরা রয়েছেন আইসোলেশনে। বারুইপুর হাসপাতালের ৩ চিকিত্সক ও ৭ জন নার্স করোনা আক্রান্ত।
এদিকে, করোনা আক্রান্তদের চিকিত্সায় আর মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ও মলনুপিরাভির রাজ্যে ব্যবহার করা যাবে না। আজ করোনা চিকিত্সা নিয়ে নতুন যে প্রোটোকল প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্যভবন, তাতেই এ কথা জানানো হয়েছে।
সেইসঙ্গে বলা হয়েছে, যাঁরা হোম আইসোলেশনে রয়েছেন, তাঁদের মৃদু উপসর্গ থাকলেও স্টেরয়েড ব্যবহার করা যাবে না। যে করোনা রোগীদের প্রচণ্ড কাশি হচ্ছে, তাঁদের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ ধরনের ইনহেলার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ও মলনুপিরাভির বাদ দেওয়া হয়েছে কারণ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের গাইডলাইনে এর উল্লেখ নেই।
করোনা মোকাবিলায় পদক্ষেপ প্রশাসনের। সূত্রের খবর, সল্টলেকের সিবি ব্লকের ৮৬ থেকে ৯০ নম্বরের বাড়িগুলিকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসবে ঘোষণা করা হয়েছে।বিধাননগর উত্তর থানার তরফে আজ মাইকে প্রচারও করা হয়। বিভিন্ন বাড়ির সামনে ব্যারিকেড করা হয়। সূত্রের খবর, বিধাননগর কর্পোরেশন এলাকায় গত ৮ দিনে প্রায় ২৫০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
খিদিরপুরের আইডিয়াল আবাসনকে চিহ্নিত করা হল কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে। ৭৮ নম্বর ওয়ার্ডের আইডিয়াল আবাসন চিহ্নিত হয়েছে। আবাসনে মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশ। চলছে স্যানিটাইজেশনের কাজ পিপিই পরে কাজ করছেন পুরসভার কর্মীরা।
এদিকে, ব্যারাকপুর পুরসভা এলাকায় গত তিনদিনে ৩০ জনেরও বেশি করোনা আক্রান্ত। ১৭টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। যাঁদের বাড়িতে করোনা আক্রান্ত রয়েছেন, তাঁদের বাড়ির লোককে বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। যে কোনও সাহায্যের প্রয়োজনে ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে বাসিন্দাদের।