কলকাতা: তৃণমূল জমানায় তৃতীয় টেট। ইতিমধ্যেই অনলাইনে আবেদনপত্র নেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। এরমধ্যেই হয়েছে মামলা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত, যাঁরা প্রশিক্ষণের (ডিএলএড) জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন, তাঁরা সবাই প্রাথমিক টেটে বসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এ বিষয়ে ১৫ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে প্রশিক্ষণের (ডিএলএড) প্রথম পর্বের ফল প্রকাশিত হবে। প্রশিক্ষণের (ডিএলএড) দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা নেওয়া হবে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে।
তবে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, নিয়োগ হবে এনসিটিই-র নিয়ম মেনেই। সেক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ ছাড়া কেউ চাকরি পাবেন না। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, নথিভূক্ত যারা তারা আবেদন করতে পারবে। কিন্তু নিয়োগ কিন্তু এনসিটিই-র নিয়ম মেনে।
রাজ্য সরকার আগেই ঘোষণা করেছিল, ২০১৫ সালে যাঁরা টেটে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন, অথচ প্রশিক্ষণ ছিল না, এমন চাকরিপ্রার্থীরা যদি এই সময়সীমার মধ্যে প্রশিক্ষিত হয়ে যান, তাহলে তাঁদের নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
এমনকি যাঁরা প্রশিক্ষণের চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষায় বসেছেন, তাঁরাও আবেদন করতে পারবে টেটে। এবার আরও একধাপ এগিয়ে সরকার জানিয়ে দিল, যাঁরা প্রশিক্ষণের জন্য নাম লিখিয়েছেন, তাঁরা সবাই টেটে বসার সুযোগ পাবেন। পর্ষদ সূত্রে খবর, এর ফলে অতিরিক্ত দেড় লক্ষ আবেদনপত্র জমা পড়তে পারে।
কিন্তু কেন সরকারের এই সিদ্ধান্ত? শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। সহানুভূতির সঙ্গে দেখতে বলেছেন। একদল আছে অর্থ নিয়ে মামলা করাচ্ছে। মমতা বলেছেন বিভ্রান্তি দূর করতে।
আদালতে না গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে যাতে সমস্যার সমাধান করা যায়, সে জন্য বুধবার ঘুরিয়ে বার্তা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। প্রশ্ন তুলেছেন, কয়েকজনের জন্য গোটা নিয়োগপ্রক্রিয়া কেন বন্ধ থাকবে? কিন্তু চাকরিপ্রার্থীদের প্রশ্ন, পরীক্ষাটা কবে হবে? পঞ্চায়েত ভোটের আগে না পড়ে?
যদিও পরীক্ষার দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত করেনি রাজ্য সরকার।