কলকাতা: ভোটের আগে আজই রাজ্যে আসছে ২ কোম্পানি সিআরপিএফ। সূত্রের খবর, মূলতঃ বিশিষ্টদের নিরাপত্তার জন্যই এই সিআরপিএফ বাহিনীকে পাঠানো হয়েছে।


সূত্রের খবর, ভোট পর্যন্ত থাকবে সিআরপিএফ। আপাতত দুর্গাপুর ও খড়গপুরে রাখা হবে এই বাহিনীকে। প্রয়োজন মতো ব্যবহার করা হবে।


প্রসঙ্গত, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলা এবং হালিশহরে বিজেপির বুথ সভাপতি খুনের ঘটনার পরই রাজ্যে ৬ মাস আগেই মডেল কোড অফ কনডাক্ট বা আদর্শ আচরণবিধি জারির দাবি জানিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে দরবার করে বঙ্গ বিজেপি।


গত ১৩ ডিসেম্বর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে আগাম কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর দাবি জানিয়েছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।


প্রায় একইসঙ্গে ভোটের ৬ মাস আগে থেকে আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর করার দাবি তোলে তারা। এ নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করে তৃণমূল। শাসক দলের লোকসভা সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ৬ মাস আগে মডেল কোড অফ কনডাক্ট জারি করা কোথাও হয়নি দেশে।


যদিও, নিজেদের দাবির স্বপক্ষে জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলার কথা নির্বাচন কমিশনকে জানায় বঙ্গ বিজেপি। সঙ্গে উল্লেখ করা হয়, হামলার দিনকার রাজ্য পুলিশের একটি ট্যুইটের ছবি।


এমনকী, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে দেখা করে বিজেপির প্রতিনিধি দল। বঙ্গ বিজেপির অভিযোগ, রাজ্য পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। তাই ভোটের আগে থেকেই নিরাপত্তা পুরো দায়িত্বে রাখা হোক শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীকে।


রাজ্য সরকারের কর্মচারীর একাংশ তৃণমূলপন্থী। ভোট পরিচালনার কাজে তাঁদের যেন ব্যবহার না করা হয়। সীমান্তবর্তী এলাকায় অনুপ্রবেশকারীদের নাম ভোটার তালিকায় উঠে যাচ্ছে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় বিজেপি।


এনিয়ে বিজেপিকে পাল্টা কটাক্ষ করে তৃণমূল। সৌগত বলেন, সেটার জন্য দায়ী সেন্ট্রাল গভর্মেন্ট, বিএসএফ কী করছে? রোহিঙ্গারা কী করছে? ভোটার তালিকা তো তৈরি করে নির্বাচন কমিশন, এরা দায়ী আমাদের কেন বলছেন?


বঙ্গ বিজেপির প্রতিনিধি দলের দাবি, সমস্ত বক্তব্য শোনার পর কমিশন জানিয়েছিল, শীঘ্রই ৩ দিনের জন্য কলকাতায় আসছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। তিনি রিপোর্ট দেওয়ার পর, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


জাতীয় নির্বাচন কমিশনে প্রায় ৪৫ মিনিটের বৈঠক করেছিলেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা।